কমলাক্ষ ভট্টাচার্য: নদিয়ার মাজদিয়ার আমবাগানে চার-চারটি বাঙ্কার উদ্ধার কাণ্ডের ঘটনায় মূল মাথা কে? প্রায় ২ বিঘা জমির মালিকই বা কে? শুক্রবার দুপুর থেকে প্রায় ২৫ ঘণ্টা তল্লাশি অভিযানের পর রহস্য এখনও ঘণীভূত।
তদন্তে নেমে বিএসএফ ও পুলিসের বক্তব্য, বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যেই প্রায় ৬২ হাজার বোতল নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ বাঙ্কারে মজুত করা হয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৭ কিমি দূরেই বাংলাদেশ সীমান্তের টুঙ্গি চেকপোষ্ট। এই এলাকা বাংলাদেশে ফেনসিডিল ও সোনা চোরাচালানের সুগম পথ হিসেবে পরিচিত ছিল। বাংলাদেশ উত্তপ্ত হওয়ার পর সীমান্তে নজরদারি আঁটোসাটো হওয়ায় উদ্ধার হওয়া নিষিদ্ধ সিরাপ মজুত করা হয় বলে জানা যাচ্ছে। রবিবার সকালেও বিএসএফ ও এনসিবি টিম এসে বাঙ্কারগুলির মাপজোক করে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার নদিয়ার মাজদিয়া সীমান্তের একের পর এক বাঙ্কারের হদিশ পাওয়া যায়। গত দুই দিনে মোট চারটি বাঙ্কারের হদিশ। সূত্রের খবর, বিএসএফের বিশাল অভিযানে চোরাচালানের নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়া হয়েছেখ। ভূগর্ভস্থ স্টোরেজ ট্যাঙ্ক থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকার ফেনসিডিল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তিনটি বাঙ্কার থেকে বাষট্টি হাজার দুশোবোতল ফেনসিডিলের একটি বিশাল চালান উদ্ধার করা হয়েছে। আনুমানিক মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা।
এই ঘটনার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সমস্ত এলাকায়। যদিও এই বাঙ্কারগুলি সবকটিই লোহার বাঙ্কার। প্রায় ১৫ ফুট লম্বা এবং ২০ ফুট চওড়া এই বাঙ্কার। এতবড় বাঙ্কার কীভাবে এল সেই নিয়েই ধোঁয়াশা। কিছুটা দূরেই বাংলাদেশ। তাই এই বাঙ্কার কে তৈরি করল কারাই বা জড়িত সেই বিষয়ে বড়সড় ধোঁয়াশা। যেখান থেকে বাঙ্কার উদ্ধার হয়েছে তার পাশেই চাষের জমি। কীভাবে নজর এড়িয়ে বাঙ্কার তৈরি হয়েছে। সেই প্রশ্ন ঘিরেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রাণহানির হওয়ার আশঙ্কা তাই মুখ খুলতে নারাজ সকলেই। উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৬২,২০০ বোতল ফেনসিডিল যার বাজারমূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। কড়া নিরাপত্তায় ঘেরা রয়েছে সমস্ত এলাকা।