সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: নোদাখালিতে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলির ঘটনায় গ্রেপ্তার এক যুবক। ধৃত প্রীতম ভোঁর। বছর একুশের ওই যুবক দক্ষিণ ২৪ পরগনার নোদাখালি থানার সাতগাছিয়া বিধানসভার সোনাপুর গ্রামের বাসিন্দা। ওই যুবকের বিরুদ্ধে তিন দুষ্কৃতীকে আত্মীয়ের বাড়িতে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রীতম চপের দোকানের মালিক। শনিবার রাতে দোকান থেকে বাড়ি ফেরার সময় পুলিশ তাকে আটক করে। টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিবার দুপুরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের দাবি, প্রীতমের এক আত্মীয়ের বাড়ি আমতলায়। তৃণমূল কর্মীকে খুনের চেষ্টা করেছিল যে তিন দুষ্কৃতী তাদেরকে প্রীতম আমতলায় ওই আত্মীয়ের বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিল। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ ছিল প্রীতমের। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই তিন দুষ্কৃতীর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে নোদাখালি থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য, জখম তৃণমূল কর্মী কৃষ্ণ মণ্ডল, নোদাখালি থানার ডোঙ্গারিয়ার বাসিন্দা। শনিবার সকালে ডোঙ্গারিয়া এলাকায় বাইকে চড়ে তিন যুবক আসে। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি চালাতে শুরু করে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই তৃণমূল কর্মী রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা গুলির শব্দ শুনে দৌড়ে আসেন। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ফের বাইকে চড়ে ঘটনাস্থলে ছাড়ে দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়রাই রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে। তাঁকে প্রথমে মুচিশা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতার এক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তৃণমূল কর্মীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করে যুবক।