• স্বাধীনতার সাক্ষী বীরভূমের এই দোকান, বইয়ের সম্ভারে আজও জনপ্রিয় ‘শিক্ষা সঙ্ঘ’
    এই সময় | ২৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • ১৯৪৩ সালে শুরু হয়েছিল পথচলা। বইয়ে ঠাসা ‘শিক্ষা সঙ্ঘ’। স্বাধীনতার স্মৃতি বহন করে আসছে বীরভূমের এই বইয়ের দোকান। স্থানীয়দের কাছে আজও জনপ্রিয় এই দোকানের শতবর্ষ পালনের অপেক্ষায় দোকান মালিকের তৃতীয় প্রজন্ম।

    সিউড়ি জেলা আদালতের কাছে অবস্থিত এই দোকানে পাওয়া যায় স্কুল-কলেজের পাঠ্য পুস্তক ও শিক্ষা সরঞ্জাম থেকে শুরু করে বিভিন্ন উপন্যাস-সহ নানা গল্পের বই বা ধর্মগ্রন্থও। প্রতিদিনই এখানে ছাত্রছাত্রী বা পাঠকদের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। জানা গিয়েছে, ১৯৪৩ সালে চন্দ্রহাটের বাসিন্দা দ্বিজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরি ছেড়ে নিজে কিছু করার চেষ্টায় এই দোকানটি খোলেন। তাঁর মৃত্যুর পর দোকানের দায়িত্ব চলে যায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের হাতে।

    প্রসঙ্গত, বীরভূমের প্রাণকেন্দ্র বোলপুরেও রয়েছে একটি বইয়ের দোকান ‘সুবর্ণরেখা’। ১৯২৫ সালে স্থাপিত হলেও সেখানে অমিল ধর্মগ্রন্থ বা পাঠ্যপুস্তক। ফলে বীরভূম জেলার যে কোনও ধরণের বইয়ের সবচেয়ে প্রাচীন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বলতে নাম উঠে আসে শিক্ষা সঙ্ঘের। পরবর্তীকালে এই দোকানের বইয়ের বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় শুরু হয় প্রকাশনার কাজও, নাম রাখা হয় ‘সাহিত্য নিকেতন’। বর্তমানে এই প্রকাশনী সংস্থা স্থানান্তরিত হয়েছে কলকাতার কলেজ স্ট্রিটে।

    ‘শিক্ষা সঙ্ঘ’-র কর্ণধার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বংশ পরম্পরায় এই দোকানের উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছে। তৃতীয় প্রজন্মও বর্তমানে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তাঁর কথায়, ‘এখন আমাদের মূল লক্ষ্য এই দোকানের একশো বছর পূর্ণ করার।’

  • Link to this news (এই সময়)