• নদিয়ার বাঙ্কারে এবার হানা এনসিবি-র
    প্রতিদিন | ২৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নদিয়ার টুঙ্গি সীমান্তের কাছে ঘনীভূত বাঙ্কার রহস্য। ঘটনাস্থলের ৭ কিমি দূরে টুঙ্গি সীমান্ত। ওই সীমান্তের কাঁটাতারহীন এলাকা সোনা এবং নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ চোরাচালানের ট্রানজিট রুট। গোপন বাঙ্কারই কি অনুপ্রবেশকারীদের ‘নিরাপদ আশ্রয়’? সময় যত গড়াচ্ছে ততই এমন নানা প্রশ্ন উঠছে। বাঙ্কারের রহস্যভেদে চলছে জোর তদন্ত।

    ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার দুপুরে। ওইদিন টুঙ্গি সীমান্তের কাছে নঘাটা গ্রামে মাটির নিচে থাকা তিনটি বাঙ্কারের খোঁজ পায় বিএসএফ। তল্লাশি চালিয়ে ৬২ হাজার ২০০ বোতল ফেনসিডিল পাওয়া যায়। যার বাজারদর কমপক্ষে দেড় কোটি টাকা। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ওই ২ বিঘা জমি স্থানীয় লাল্টু মহারাজের। জানা গিয়েছে, নবদ্বীপের চরব্রহ্মণ্যপুর এলাকায় নাকি ডেরা তৈরি করেছেন তিনি। তবে নঘাটা গ্রামের কারও সঙ্গে লাল্টু মহারাজের তেমন চেনা পরিচিতি কেউ। অনেকেই তো আবার তাঁর মুখ চেনেন না। বিএসএফ আধিকারিকরা এখনও পর্যন্ত লাল্টু মহারাজ সম্পর্কে তেমন কোনও তথ্য জোগাড় করতে পারেননি।

    রবিবার সকালে মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার আধিকারিকরা নঘাটা গ্রামে যান। বাঙ্কার থেকে উদ্ধার হওয়া ফেনসিডিলের নমুনা সংগ্রহ করেন। ওই বেআইনি কফ সিরাপের সঙ্গে আর কোনও মাদক মেশানো আছে কিনা, তা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া লাল্টু মহারাজের ২ বিঘা জমির পরিধি এবং ভৌগোলিক অবস্থানও খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। অনুপ্রবেশ সমস্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সীমান্তে যথেষ্ট কড়াকড়ি চলছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সীমান্তের খুব কাছে বাঙ্কার উদ্ধারের ঘটনা যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কে বা কারা যুক্ত, বাঙ্কারে বেআইনি কফ সিরাপের আড়ালে কি আরও কিছু রাখা হত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 
  • Link to this news (প্রতিদিন)