শ্যামলেন্দু গোস্বামী, বারাসত: রাজ্য বা জাতীয় সড়কে অটো বা টোটো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আছে। এক্ষেত্রে কড়া নির্দেশিকাও দিয়েছে রাজ্য পরিবহণ দপ্তর। বারাসত শহরে এই নিয়ম এখনও কার্যকর হয়নি বলে অভিযোগ। উল্টে অটো বা টোটোর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে। আর এর জেরে যানজট যথেষ্টই মাথাব্যাথার কারণ সাধারণ মানুষের কাছে। এবার বেআইনি টোটো নিয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু করল জেলা পরিবহণ দপ্তর। পুরসভার পক্ষ থেকে দেওয়া বারকোড ছাড়া টোটো কতগুলি চলছে তা নিয়ে শুরু হয়েছে তথ্য সংগ্রহের কাজ। যদিও এই কাজ পুরোপুরি সম্পূর্ণ করা যাবে কি না তা নিয়েও প্রশাসনিক মহলেই প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। তবুও দপ্তরের কর্তারা চাইছেন সরকারি নির্দেশিকা মেনে অটো বা টোটো চলাচল করতে।
জানা গিয়েছে, বারাসত শহরে কমবেশি ১০ হাজারের বেশি টোটো চলাচল করে। ফলে নিত্য যানজটে নাকাল পুরবাসী। এই অবৈধ টোটোর দৌরাত্ম্য রুখতে গতবছর টোটোতে বারকোড বসানো হয়েছে পুরসভার তরফে। কিন্তু, তাতেও লাগাম টানা সম্ভব হয়নি। এনিয়ে একাধিকবার প্রশাসন, পুরসভা, তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন বৈঠকের হয়। কিন্তু তারপরেও কাজের কাজ হয়নি। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের তিনহাজার টোটোতে বারকোড দেওয়া হয়েছে। সমস্তটাই জেলা শাসকের তত্ত্বাবধানেই হয়েছে। আর টোটোগুলির রুটও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। সমস্ত বিষয়টি জেলাশাসকের তত্ত্বাবোধনেই হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৪২টি রুটে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, তারপরেও ক্রমশ টোটোর সংখ্যা যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে। আর এ নিয়ে যথেষ্টই চিন্তিত পরিবহণ দপ্তর। সূত্রের খবর, এ নিয়ে জেলা প্রশাসন আনতে চলেছে একটি নীতি৷ যেখানে স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে বেআইনি থাকলেই মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কতদিন ধরে বেআইনি রুটে টোটো চলছে তা খতিয়ে দেখা হবে। কয়েকদিনের মধ্যেই দপ্তর এ নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে। জেলা পরিবহণ দপ্তরের এক কর্তা বলেন, এ নিয়েই তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। পুরোপুরি কাজ হয়ে গেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর জন্য নতুন নীতিও তৈরি করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় টিন(টেম্পোরারি নম্বর) বা বারকোড ছাড়া টোটো চলতে দেওয়া যাবে না। কেউ যদি অসাধু পথ অবলম্বন করে তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা হবে।