• অনুমোদন পেলেও শৌচালয় নির্মাণে অনীহা রাজ্যের ৯০ হাজার উপভোক্তার
    বর্তমান | ২৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • সৌমজ্যিত সাহা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: শৌচালয় তৈরির অনুমোদন দেওয়া হলেও তার নির্মাণ করতে রাজ্য জুড়ে ব্যাপক অনীহা তৈরি হয়েছে এক শ্রেণীর উপভোক্তার মধ্যে। পঞ্চায়েত দপ্তর হিসাব করে দেখেছে, প্রায় ৯০ হাজার মানুষ শৌচালয় বানানোর অনুমোদন পত্র পেয়েও কাজ শুরু করছেন না। কিসের অনীহা, কেনই বা তাঁরা এই কাজ শুরু করতে গড়িমসি করছেন তা নিয়ে স্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায়নি। জেলাগুলিকে এ বিষয়ে উপভোক্তদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের বুঝিয়ে কাজ শুরু করার জন্য রাজি করাতে নির্দেশ দিয়েছেন দপ্তরের আধিকারিকরা।  উন্মুক্ত শৌচ মুক্ত বাংলা গড়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হচ্ছে। যার মধ্যে অন্যতম হল এই শৌচালয় নির্মাণ। একে একে বহু গ্রাম এই তকমা পেয়েছে। কেন্দ্রের কাছে সেই রিপোর্টও পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু তারা যদি পরিসংখ্যানের সঙ্গে বাস্তবের মিল কতটা আছে,  তা দেখতে রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে পরিদর্শন করতে আসেন তখন সমস্যা তৈরি হতে পারে। সে কারণেই এই ৯০ হাজার উপভোক্তা যাতে দ্রুত নিজেদের বাড়ির জন্য অনুমোদিত শৌচালয় নির্মাণ করে ফেলেন, তার জন্য বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে পঞ্চায়েত দপ্তর। মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার মত বড় জেলায় সবচেয়ে বেশি এমন উপভোক্তা রয়েছে বলে খবর।


    জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে দেড় লক্ষের বেশি বাসিন্দা শৌচালয় বানিয়ে ফেলেছেন। আরও ৯০ হাজারের আবেদন যাচাই করে তাঁদের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। বিগত বহুদিন ধরেই এদের মধ্যে কেউই কাজ শুরু করেনি বলে খবর। এদিকে স্বচ্ছ ভারত মিশন প্রকল্পের খাতে রাজ্যে আরও প্রায় ৪০০ কোটি টাকা আসার কথা রয়েছে। আগের বছরে যেসব টাকা তারা পেয়েছিল, তার একটা বড় অংশ কঠিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য নিষ্কাশন ইউনিট তৈরি করার জন্য খরচ করা হয়েছে। যদিও ধূসর জল বা রাস্তায় টিউবেল বা টাইমকল থেকে ব্যবহৃত জল নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার জন্য যে সোক পিট তৈরি করার কথা সেই কাজ অনেকটাই বাকি আছে। যার ফলে এই খাতে রাজ্যের অ্যাকাউন্টে এখনও প্রচুর টাকা পড়ে রয়েছে। চলতি অর্থবছর শেষ হওয়ার আগে কতটা খরচ করা যাবে, সেটা নিয়েও রয়েছে সংশয়
  • Link to this news (বর্তমান)