• ব্যাকফুটে বারুইপুর, এবার শীতে বাজার মাতাচ্ছে ভিনরাজ্যের জাম্বো পেয়ারা
    প্রতিদিন | ২৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • নব্যেন্দু হাজরা: কেউ বলছে বেনারস, কেউ বা রাঁচি, কেউ আবার বলছেন কাশী। তবে যেখান থেকেই আসুক, এ পেয়ারা এ রাজ্যের নয়, ভিনরাজ্যের। আর সেই ভিনরাজ্যের হাইব্রিড জাম্বো সাইজের পেয়ারাই এখন বাজারে দেদার বিকোচ্ছে। একেকটার ওজন অন্তত ৫০০ থেকে ৮০০ গ্রাম। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ সর্বত্রই এই পেয়ারার চাহিদা তুঙ্গে। আর তার দাপটে কিছুটা ব্যাকফুটেই এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় হওয়া পেয়ারা। এমনকী, বারুইপুরের পেয়ারার থেকেও এখন হাইব্রিড এই বিরাট আকারের পেয়ারার চাহিদা বেশি বলেই জানাচ্ছেন বিক্রেতারা। তাঁদের কথায়, এ বছরই প্রথম এই পেয়ারা দেখা যাচ্ছে। কোনওবার আসেনি। দিনে প্রায় ৬০০ ক্রেট এই পেয়ারা আসে কলকাতায়। তারপর তা শহরতলি এবং জেলার বিভিন্ন বাজারে চলে যায়। একেক ক্রেটে ১০ কেজি করে থাকে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

    লেকমার্কেট থেকে গড়িয়াহাট বাজার, শিয়ালদহ কোলে মার্কেট থেকে হাওড়ার বিভিন্ন বাজারে এই পেয়ারাই নজরে আসছে এখন। শুধু ফলের দোকান থেকে এই পেয়ারা কেনাই নয়, পেয়ারা মাখাও বিকোচ্ছে নানা জায়গায়। ৭০-১২০ টাকা কেজিতে বিকোচ্ছে এখন বিভিন্ন বাজারে। তবে এই পেয়ারা যখন প্রথম দেখা যায়, তখন ১২০-১৫০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হয়েছে। এখন দাম কমেছে। যদিও চাহিদায় কমতি নেই। পেয়ারার ভিতরে দানার সংখ্যাও কম। অনেক পেয়ারা আছে আবার যেগুলোর ভিতরটা লাল। সেগুলো কাশীর পেয়ারা বলছেন ব্যবসায়ীরা। খেতেও বেশ সুস্বাদু। তবে একেকটা পেয়ারার দাম অন্তত ৪০-৭০ টাকা পর্যন্ত হয়ে যাচ্ছে।

    গড়িয়াহাট মার্কেটের ফল বিক্রেতা শেখ শাহাজাদার কথায়, “মাসদুয়েক ধরেই এই বড় সাইজের পেয়ারার বিপুল চাহিদা। একেবারে ঝকঝকে দেখতে। কোনও দাগ নেই। যতদূর জানি রাঁচি থেকে এই পেয়ারা এসেছে। তবে এগুলো হাইব্রিড পেয়ারা। না হলে এত বড় হওয়া সম্ভব নয়।” এই মার্কেটে থেকেই ফল কিনছিলেন বালিগঞ্জের গৃহবধূ সুদেষ্ণা বিশ্বাস। তিনি বলেন, “খেতে তো বেশ ভালোই লাগে এই পেয়ারাগুলো। দেখতেও কী সুন্দর। এই পেয়ারা আগে দেখা যায়নি। যেখানকারই হোক, আমরা তো পেয়েই খুশি।” শিয়ালদহ কোলে মার্কেটের ভেন্ডার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি কমল দে বলেন, “বেনারস থেকে এই পেয়ারা এসেছে এবার। হাইব্রিড পেয়ারা। মানুষের মধ্যে বিপুল চাহিদা রয়েছে।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)