আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার পরবর্তী শুনানি হতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টে। সূত্রের খবর, ওই দিনই মামলার শুনানি শেষ হতে পারে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। মামলাটি ওঠে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার ডিভিশন বেঞ্চে।
এ দিন পুরো প্যানেল বাতিলের দাবিতে জোরালো সওয়াল করেন রিট পিটিশন দাখিল করা আবেদনকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া দুর্নীতিগ্রস্ত। তাই সমস্ত প্যানেল বাতিলের দাবি করছি।’
তিনি এ দিন আরও বলেন, ‘যোগ্য-অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করা সম্ভব নয়। সুপার নিউমেরারি পদ তৈরি করা হয়েছে অন্যায়ভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত ব্যক্তিদের রক্ষার জন্যই। মিরর কপি রেখে আসল ওএমআর শিট নষ্ট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এখন বলা হচ্ছে মিরর ইমেজ নেই।’ গোটা ঘটনাটিকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি’ বলে দাবি করেন তিনি।
আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি মামলাটির পরবর্তী শুনানি হতে চলেছে। ওই দিন মামলার শেষ শুনানি বলে জানা যাচ্ছে।
গত বছর ২২ এপ্রিল ২০১৬ সালের এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ওই রায় দেয়।
এর ফলে চাকরি বাতিল হয়েছিল ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল মামলা করে রাজ্য। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও চাকরিহারাদের একাংশও আপিল মামলা করে। হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলার উপরে ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।