সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ শাস্তি নিয়ে আদালতে কোনও দাবি জানালেন না নির্যাতিতার বাবা ও মা। তাঁদের বক্তব্য, ‘তদন্তে অনেক ফাঁক আছে। তা জানিয়ে আমরা মামলা করেছি। আর ফাঁসি চাই কি না, তা নিয়ে আমাদের আইনজীবীদের পরামর্শ নিয়েই চলব।’ তবে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বাইরে তাঁদেরই আইনজীবী গার্গী গোস্বামী বলেন, ‘নির্যাতিতার বাবা, মা ফাঁসি চান না। তাঁরা যেহেতু নিজের মেয়েকে হারিয়েছেন, তাই চান না কারও ফাঁসি হোক।’
আরজি করের তরুণী ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ-খুন মামলায় সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে নিম্ন আদালত। এই নির্দেশে খুশি নয় রাজ্য। তারা সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তি চায়। নিম্ন আদালতের শাস্তিদানের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাই রাজ্যের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও দায়ের করা হয়।
সিবিআই-এরও বক্তব্য, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ–খুনে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির সাজা হওয়া উচিত। দু’পক্ষই কলকাতা হাইকোর্টে নিম্ন আদালতের রায় চ্যালেঞ্জ করে এই ঘটনাকে বিরল থেকে বিরলতম বলে দাবি করেছে।
কিন্তু নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া মামলায় রাজ্যের আবেদন গ্রহণ করা হবে কি না, তাই নিয়ে সোমবার শুনানি হয় হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির বেঞ্চে। শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখা হয়। এ দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন নির্যাতিতার মা, বাবাও। আদালতের বাইরে নির্যাতিতার বাবা, মা জানান, এই ঘটনায় যারা যুক্ত, সকলের শাস্তির দাবি করছেন তাঁরা।