বলি-তারকা সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনার তদন্তে এ বার নদিয়ায় এল মুম্বই পুলিশের টিম। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদের কাছে পাওয়া মোবাইল সিমের সূত্র ধরেই বাংলায় এসেছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের দাবি,নদিয়ার বাসিন্দা খুকুমণি নামে এক তরুণীর আধার কার্ড দিয়ে তোলা সিম কার্ড ব্যবহার করত ধৃত শরিফুল। শরিফুলের সঙ্গে খুকুমণির কী সম্পর্ক, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
সইফের হামলাকারীর সঙ্গে নদিয়ার যোগ?
সূত্রের খবর, শরিফুল বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের পর ভারতের সিম কার্ড ব্যবহার করত। আর সেই সিম কেনার জন্য নদিয়ার বাসিন্দা খুকুমণির আধার কার্ড ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই নদিয়ায় ওই তরুণীর ঠিকানায় এসে পৌঁছয় মুম্বই পুলিশ। কিন্তু সেখানে গিয়ে ধাক্কা খান তদন্তকারীরা। কারণ এই সিমটি ৪ বছর আগে তোলা হয়েছিল। সেই সময়ে যে আধার কার্ড জমা দেওয়া হয়েছিল সেখানে খুকুমণির নাম এবং ঠিকানা সঠিক থাকলেও ছবি বা বয়সের মিল নেই, দাবি তরুণীর বাবার।
যে দোকান থেকে সিমটি কেনা হয়েছিল, তার অস্তিত্বও বর্তমানে নেই বলে সূত্রের খবর। খুকুমণির বাবা জাহাঙ্গিরের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। অনুপ্রবেশের পরে শরিফুল কোথায় গিয়েছিল? কী ভাবে এতদিন সে ভারতে দিন কাটাল? তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
সইফ আলি খানের বান্দ্রার বাড়িতে হামলার পর ১৯টি আঙুলের ছাপ পেয়েছে মুম্বই পুলিশ। সেগুলির সঙ্গে অভিযুক্ত মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহবাজ়ের আঙুলের ছাপের মিল নেই। এখন কোন পথে মোড় নেয় এই হাইপ্রোফাইল ঘটনা? এখন সব নজর সেই দিকেই।