বাঁকুড়ার শালী নদীর উপরে ব্রিজের মাঝের অংশ গত কয়েক মাস আগে বন্যায় ভেঙে গিয়েছে। প্রশাসনের তরফে ওই বিপজ্জনক সেতু দিয়ে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। কিন্তু তা তোয়াক্কা না করেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে যাতায়াত। যে কোনও মুহূর্তে ঘটতে পারে বড়সড়ো দুর্ঘটনা। সমস্যায় ৩৫টি গ্রামের বাসিন্দারা। এই ব্রিজ নিয়েই শুরু রাজনৈতিক তরজা।
বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের রামপুরে সতীঘাট এলাকায় শালী নদীর উপর এই ব্রিজ। তার মাঝের অংশ ভেঙে বিপজ্জনক অবস্থায় ঝুলছে। সেই ভাঙা ব্রিজের ওপর দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনের পর দিন চলছে যাতায়াত। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত বন্যায় নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়ে ব্রিজের মাঝের অংশ ভেঙে যায়।
তারপর ৫-৬ মাস কেটে গেলেও প্রশাসনের তরফে ব্রিজ সংস্কারের কাজ শুরু হয়নি। ৩০ থেকে ৩৫টি গ্রামের বাসিন্দা এই ভাঙা ব্রিজদিয়েই পারাপার করছেন। গ্রামের পড়ুয়াদের স্কুল, কলেজে যেতে গেলে একমাত্র ভরসা শালী নদীর এই ব্রিজ। প্রশাসনের কাছে এলাকার বাসিন্দাদের আর্জি, দ্রুত এই ব্রীজ সংস্কার করা হোক।
সোনামুখী ব্লক প্রশাসনের তরফে সতর্কবার্তা দিয়ে ব্রিজ ব্যবহার না করার সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। পাশাপাশি সেতুতে মোতায়েন হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার। কিন্তু তারপরেও বাইক, চারচাকা গাড়ি-সহ স্থানীয় বাসিন্দারা প্রাণহাতে নিয়ে যাতায়াত করছেন। সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের। কোনও প্রাণহানি হলে তার দায় কে নেবে? সেটাই সব থেকে বড় প্রশ্ন।
সোনামুখী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুশল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ব্রিজের ব্যপারে আমরা জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি এবং জেলা পরিষদ রাজ্যকে জানিয়েছে। রাজ্য সরকার বিষয়টি অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে দেখছে। এই ব্রিজ তৈরি করতে প্রায় ১৩ কোটি টাকা খরচা হবে। চেষ্টা চলছে দ্রুত সেতু সংস্কারের।’