দেউচা-পাচামির কয়লা খনিতে কাজ শুরু হচ্ছে, বড় পদক্ষেপ রাজ্যের
আজ তক | ২৭ জানুয়ারি ২০২৫
পশ্চিমবঙ্গের দেউচা-পাচামি ব্লকে কয়লা খনিতে কাজ শুরু করে দিল রাজ্য সরকার। যেখানে খনন করে কয়লা উত্তোলন সম্ভব নয়, ব্লকের সেই ৩০ শতাংশ এলাকায় ভূগর্ভস্থ কয়লা গ্যাসীকরণের অনুসন্ধান শুরু করে দিল রাজ্য। বীরভূমের দেউচা-পাচামি ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা খনি হতে পারে, যে পরিমাণ কয়লা ওই ব্লকে রয়েছে।
ভূগর্ভস্থ কয়লার গ্যাসিফিকেশন
রাজ্যের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক সংবাদ সংস্থা PTI-কে জানালেন, দেউচা পাচামির বাকি অংশে কয়লার খনন শুরু হয়ে যাবে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই। দ্য মাইনিং ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড অপারেটর (MOD) প্রাথমিক ভাবে কাজ শুরু করে দেবে। WBPDCL-এর তত্ত্বাবধানে গোটা খননকার্য চলবে। ওই আধিকারিকের কথায়, 'আমরা ভূগর্ভস্থ কয়লার গ্যাসিফিকেশনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছি। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়ে গিয়েছে।'
কীভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু হবে দেউচা-পাচামিতে?
WBPDCL-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর পিবি সেলিম সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেন, 'আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভূগর্ভস্থ মোট কয়লার ৩০ শতাংশ ওপেন কাস্ট মাইনিং করে, এবং ৪০ শতাংশ ভূগর্ভস্থ খননের মাধ্যমে এবং অবশিষ্ট ৩০ শতাংশ গ্যাসীকরণের মাধ্যমে উত্তোলন করা হবে। এই মেগা কয়লা ব্লকের সম্পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর একমাত্র উপায় গ্যাসিফিকেশন।' ৩৫ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প বীরভূম জেলার জন্য বিরাট প্রাপ্তি বলেও জানান তিনি। দেউচা-পাচামিতে কয়লার গ্যাসিফিকেশন ও খনন প্রক্রিয়া একসঙ্গে চলবে। সেলিমের কথায়, 'ভূগর্ভস্থ খননকার্যের জন্য আমরা গ্লোবাল টেন্ডার ডাকছি। গ্যাসিফিকেশনের ১ হাজার একর অঞ্চল বাছাই হয়েছে।' WBPDCL-এর আরেক আধিকারিক জানাচ্ছেন, ব্লকের যে অঞ্চলে ৪০০ মিটারের গভীরেই কয়লা রয়েছে, সেখানে কয়লার গ্যাসিফিকেশন করা যায় কিনা, তার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এরপর কেন্দ্রের সহযোগিতা চাওয়া হবে। কারণ কয়লার গ্যাসিফিকেশনে কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তার পলিসি রয়েছে।
প্রায় ১ হাজার ২০০ মিলিয়ন মেট্রিক টন কয়লা দেউচা-পাচামি ব্লকে
২০১৮ সালে দেউচা-পাচামির কয়লা খনি পশ্চিমবঙ্গের হাতে আসে। প্রায় ১ হাজার ২০০ মিলিয়ন মেট্রিক টন কয়লা দেউচা-পাচামি ব্লকে রয়েছে বলে অনুমান। তবে ওই এলাকায় ব্যাসল্টের পরত একটা বড় চ্যালেঞ্জ ওপেন কাস্ট মাইনিংয়ে। ইতিমধ্যে প্রায় ৩৭৬ একর জমিতে ব্যাসল্ট উত্তোলনের জন্য টেন্ডারের মাধ্যমে সংস্থা বাছাইয়ের কাজ হয়েছে। এর থেকে ৭১.৫ শতাংশ রাজস্বও আসবে উন্নয়ন নিগমের কোষাগারে। এর পাশাপাশি প্রায় এক হাজার একর জমিতে একই সঙ্গে চলবে আন্ডারগ্রাউন্ড কোল গ্যাসিফিকেশনের কাজ।