দেবব্রত ঘোষ: পুকুর ভরাট করে প্রমোটিং এর করার অভিযোগ। যেখানে অহরহ দেখা যাচ্ছে বাড়ি হেলে পড়তে বা ভেঙে পড়তে; সেখানে এরই মাঝে ঘটে গেলো এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা, জোরকদমে চলছিল পুকুর ভরাট করার কাজ। এমনই অভিযোগ উঠে আসছে হাওড়া পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের মাধব ঘোষ লেনে। শুধু তাই নয় পুকুরকে বাস্তু জমি করার জাল নথি তৈরির অভিযোগ উঠছে। আসরে নামল হাওড়া পুরসভা। পুকুরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেবার কাজ শুরু হল রাতারাতি।
পুকুরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেবার কাজ শুরু হওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী, প্রাক্তন পুরপিতা শ্যামল মিত্র সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। পুরসভা সূত্রে জানা যাচ্ছে এই এলাকায় একটি প্রায় সাড়ে এগারো কাঠা একটি পুকুর ছিল। এলাকার জল নিকাশী ও ব্যবহারের জন্য বাদাম পুকুর নামে এই জলাশয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু এক অসাধু চক্র সেটি অর্ধেকের বেশী বুঝিয়ে ফেলে। যার প্রতিবাদে সামিল হয়েছিল স্থানীয় একটি ক্লাব ও এলাকার মানুষজন। পুরসভায় অভিযোগ জানানো হয় এই নিয়ে। পুকুরটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেবার উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রথমে পুর কর্মীদের বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়। এরপর আজ জোরকদমে সেই কাজ শুরু হয়েছে।
ওয়ার্ডের প্রাক্তন পুরপিতা শ্যামল মিত্র বলেন স্থানীয় ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে এটি আটকানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পুকুরটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পুরসভা এগিয়ে আসে। যিনি পুকুরটি বিক্রি করেছেন তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে দাবি এলাকার মানুষজনের। প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানান পুরসভার রেকর্ডে এটি পুকুর বলে উল্লেখ রয়েছে অথচ জাল নথি বের করে বাস্তু জমি দেখিয়ে ভরাটের কাজ চলছিল। যেটা বড় ধরনের অপরাধ। প্রয়োজনে এফআইআর করা হবে। পুকুরটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে পুরসভা।