বাঙ্কার রহস্যের মাঝেই নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে গ্রেপ্তার ২ রোহিঙ্গা
প্রতিদিন | ২৭ জানুয়ারি ২০২৫
সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: বাঙ্কার রহস্যের এখনও কিনারা হয়নি। তারই মাঝে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়া থেকে গ্রেপ্তার ২ রোহিঙ্গা। বাঙ্কার থাকা এলাকা থেকে ২ কিলোমিটারের মধ্যে তাদের ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছে বলেই খবর। বাংলাদেশের উত্তাল পরিস্থিতিতে অনুপ্রবেশ সমস্যা জটিল আকার ধারণ করেছে। তারই মাঝে ফের রোহিঙ্গা গ্রেপ্তারের ঘটনা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
ধৃতরা হল এমডি যাদব এবং মহম্মদ নূর। পুলিশ সূত্রে খবর, বছরখানেক আগে তারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে। তারপরেই হায়দরাবাদে কাজের উদ্দেশ্যে গিয়েছিল। আবার বাংলাদেশ পালানোর ছক কষেছিল ওই দুই যুবক। রবিবার রাতে ভাজনঘাট এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। তাঁরাই কৃষ্ণগঞ্জ থানায় খবর দেন। কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশের হাতে দুই রোহিঙ্গাকে তুলে দেয় এলাকাবাসী। পুলিশ সূত্রে খবর, তাদের কাছ থেকে কোনও বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। ধৃতদের সোমবার আদালতে তোলা হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ।
একেই টুঙ্গি সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় ভূগর্ভস্থ চারটি বাঙ্কারের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। সেখান থেকে কমপক্ষে ১ কোটি টাকা বাজারমূল্যের বেআইনি কফ সিরাপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। টুঙ্গি সীমান্তের কাঁটাতারহীন এলাকা সোনা এবং নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ চোরাচালানের ট্রানজিট রুট। গোপন বাঙ্কারই কি অনুপ্রবেশকারীদের ‘নিরাপদ আশ্রয়’? সময় যত গড়াচ্ছে ততই এমন নানা প্রশ্ন উঠছে। বাঙ্কারের রহস্যভেদে চলছে জোর তদন্ত। তারই মাঝে দুই রোহিঙ্গা গ্রেপ্তারির ঘটনায় বেশ চিন্তিত তদন্তকারীরা।
বলে রাখা ভালো, ২০১৭ সালের আগস্টে মায়ানমার সেনাবাহিনীর ‘গণহত্যা’ ও ‘নিপীড়নে’র মুখে দেশটি থেকে প্রায় ৭ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এদিকে আবার গত কয়েকমাস ধরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। সেই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশিরা গণহারে ভারতের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সীমান্তে কাঁটাতার পেরিয়ে এদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে। বিএসএফের চেষ্টায় বহু অনুপ্রবেশ রুখে দেওয়া গিয়েছে। তবে চোরাপথে অনুপ্রবেশ রোখা যায়নি। যা রীতিমতো উদ্বেগের বিষয়।