• সঞ্জয়ের ফাঁসি চাইল না নির্যাতিতার পরিবার! হাই কোর্টে শুনানিতে জানালেন আইনজীবী
    প্রতিদিন | ২৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • গোবিন্দ রায়: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলায় দোষী সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি চায় না নির্যাতিতার পরিবার! সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে মামলার শুনানিতে পরিবারের আইনজীবী এমনই জানালেন বলে খবর। এদিন সওয়াল-জবাবে আইনজীবী শামিম আহমেদের আরও বক্তব্য, কন্যাহারা পরিবার চায় না যে দোষীর সর্বোচ্চ সাজা অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড হোক। বরং তাঁদের দাবি, ‘প্রকৃত অপরাধী’রা অধরা, তাদের তদন্তের আওতায় আনা হোক। নিহতের বাবা জানান, যারা অপরাধী, তারা সকলে গ্রেপ্তার হোক, এই তাঁদের দাবি। এদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি ছিল। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে বলে খবর।

    চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনে দোষী সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা শুনিয়েছে শিয়ালদহের আদালত। তার বিরোধিতা করে এবং সর্বোচ্চ সাজার দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে পালটা মামলা করে রাজ্য সরকার এবং সিবিআই।  বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহঃ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে সোমবার ছিল শুনানি। এদিনের শুনানিতে রাজ্যের মামলা দায়েরের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী এস ভি রাজুর দাবি, নিম্ন আদালতে অর্থাৎ শিয়ালদহ কোর্টে এই মামলার পার্টি ছিল না রাজ্য সরকার। তাই সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতেও তারা মামলা করতে পারে না।  এ প্রসঙ্গে পৃথক তিনটি মামলার উদাহরণও দেন সিবিআই আইনজীবী। পালটা রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত ১৯৭৬,২০০৩ এবং ২০১০ সালের সুপ্রিম কোর্টের তিনটি নির্দেশনামা দেখিয়ে সওয়াল করা হয় যে তারাও, অর্থাৎ রাজ্যও শাস্তি বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করতে পারে। 

    সওয়াল-জবাব শুনে বিচারপতি দেবাংশু বসাক রাজ্য সরকারের আইনজীবীর উদ্দেশে প্রশ্ন তোলেন, একই দাবিতে মামলা, তবে পৃথকভাবে গ্রহণযোগ্যতার অর্থ কী? আপাতত মামলার এই অংশ অর্থাৎ দুটি পৃথক মামলা গ্রহণ করা হবে কি না, সেই সংক্রান্ত শুনানি শেষ, রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে।  এদিকে জানা যাচ্ছে, সঞ্জয়ের হয়ে হাই কোর্টে লড়াই করবেন লিগাল এইডের আইনজীবীরা। তাঁরা শিয়ালদহ আদালতেও লড়েছিলেন। 
  • Link to this news (প্রতিদিন)