• রান্নাঘরের ভিতর মিলল গৃহবধূর গলাকাটা অর্ধনগ্ন দেহ, পরকীয়ার পরিণতি?
    প্রতিদিন | ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • বিক্রম রায়, কোচবিহার: বছর দেড়েকের বাচ্চা খাটের উপরে তারস্বরে কাঁদছিল। সেই কান্না শুনে বাড়ির মালিক ভাড়াটের ঘরে ঢুকেই চক্ষুচড়কগাছ। রান্নাঘরের ভিতর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ওই শিশুর মায়ের প্রায় অর্ধনগ্ন মৃতদেহ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি কোচবিহারের দু নম্বর ব্লকের চকচকা বাজার এলাকায়। ঘটনায় মৃতার স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতাঁর নাম অর্পিতা আর্য (২২)। বছর তিনেক আগে কালজানি কুড়ারপাড় এলাকার বাসিন্দা রবীন্দ্র আর্যের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল অর্পিতার। ওই দম্পতির বছর দেড়েকের এক পুত্র সন্তানও আছে। শ্বশুরবাড়িতে ঝামেলার জন্য স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ওই ব্যক্তি ভাড়াবাড়িতে উঠেছিলেন। গত নয় মাস ধরে তাঁরা চকচকাবাজার এলাকার ওই ভাড়াবাড়িতে থাকছিলেন বলে খবর।

    দিনহাটার একটি রাইসমিলে ওই ব্যক্তি কর্মরত বলে খবর। দিনহাটায় একটি বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর রবিবার অর্পিতা নিজের শাশুড়ির সঙ্গে বাড়ি ফেরেন। শাশুড়ি পুত্রবধূকে নামিয়ে নিজেদের বাড়ি চলে যান। রাতে রবীন্দ্র দিনহাটায় ছিলেন বলে খবর। এদিন সকাল থেকে স্বামী-স্ত্রীকে দেখা যাচ্ছিল না। এদিকে ঘরের ভিতর থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ দীর্ঘ সময় থেকে আসছিল।

    পরে ভিতরে গিয়ে দেখা যায় ওই মারাত্মক ঘটনা। রান্নাঘরের ভিতর অর্পিতার প্রায় অর্ধনগ্ন দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। কী কারণে এই খুন তাই নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতার মায়ের দাবি, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কয়েক মাস আগেও বেশ অশান্তি ছিল। তবে ইদানীং দুজনের মধ্যে বিবাদ কমেছিল।

    ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী রবীন্দ্র আর্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। কেন ওই ব্যক্তি রাতে বাড়ি ফেরেননি? ঘটনার পিছনে কি কোনও অন্য কারণ রয়েছে? সেসব খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পরকীয়ার পরিণতিতে কি এই খুন? সেই প্রশ্নও উঠছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)