সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জ এলাকা থেকে ৬২ হাজারের বেশি কফ সিরাপ উদ্ধার হয়েছে। গতকাল রবিবার ঘটনাস্থলে তদন্তে গিয়েছিলেন এনসিবির প্রতিনিধির দল। ওই ঘটনার তদন্ত এবার থেকে এনসিবিই করবে বলে জানা গিয়েছে। আজ সোমবার কৃষ্ণনগর বিশেষ আদালতে বাজেয়াপ্ত কফ সিরাপের নমুনা পেশ করা হয়।
এদিন কৃষ্ণনগর বিশেষ আদালতে ঘটনার একাধিক তথ্যও পেশ করা হয়েছে। কফ সিরাপ-সহ ২১৩ টি বস্তাও আদালতে নমুনা হিসেবে দাখিল করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিএসএফ পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে এখন মুখ খোলা সম্ভব নয়। তবে এখন থেকে ওই ঘটনার তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি এনসিবি। গতকাল এনসিবির আধিকারিকরা ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন।
নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের টুঙ্গি সীমান্তের একটি জঙ্গল এলাকা থেকে তিনটি বাঙ্কার পাওয়া যায়। বিএসএফ জওয়ানরা ওই এলাকায় তারপর থেকেই খানাতল্লাশি শুরু করেন। মোট ৬২,২০০ বোতল কফ সিরাপ পাওয়া যায়। যার বাজারদর আনুমানিক প্রায় দেড় কোটি টাকা। গোটা এলাকায় তারপর থেকে নজরদারি আরও বাড়িয়েছে বিএসএফ। তার মধ্যে আবার ওই এলাকা থেকেই দুই বাংলাদেশি রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাতে চাঞ্চল্য আরও বেড়েছে। কেবল কি ওই এলাকা দিয়ে চোরাচালান হত? নাকি অস্ত্র-সহ আরও একাধিক পাচার চলত? বাংলাদেশি জঙ্গিদের আনাগোনা কি ওই এলাকায় ছিল? এসব প্রশ্ন ঘটনার পরে সামনে আসছে।
বাগানের মধ্যে কীভাবে তিনটি বাঙ্কার তৈরি হল সাধারণ মানুষের নজর এড়িয়ে? কাদের সেখানে আনাগোনা ছিল? দুই বিঘা জমির জঙ্গলের ভিতর টিনের ঘরে কী চলত? সেসব প্রশ্নও উঠছে। ওই দুই বিঘা জমির মালিকানা রয়েছে লাল্টু মহারাজের নামে। তাঁর আসল নাম রাজ ঘোষ। শুক্রবার বাঙ্কারের খোঁজ পাওয়ার পর থেকেই উধাও ওই ব্যক্তি।