• স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নের সুফল ছড়িয়ে দেবে প্রোগ্রেসিভ হেল্থ অ্যাসোসিয়েশন, নেতৃত্বে শশী
    প্রতিদিন | ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • স্টাফ রিপোর্টার: বাংলার স্বাস্থ‌্য পরিষেবার সুফল রাজ্যের সর্বত্র পৌঁছে দিতে আত্মপ্রকাশ করল নয়া সংগঠন প্রোগ্রেসিভ হেলথ অ‌্যাসোসিয়েশন। স্বাস্থ‌্যক্ষেত্রের প্রতিটি স্তরের মানুষকে নিয়ে তৈরি সংগঠনের মাথায় মন্ত্রী শশী পাঁজা। স্বাস্থ‌্যসাথী তো বটেই, বাংলার প্রতিটি জেলার সরকারি হাসপাতাল ঢেলে সাজিয়েছে রাজ্য সরকার। সেখানে বিনামূল্যে জটিলতর চিকিৎসা হচ্ছে। এবার স্বাস্থ‌্য ব‌্যবস্থার সেই সুফল আমজনতাকে পৌঁছে দিতে গড়ে উঠল নতুন সংগঠন। সোমবার দুপুরে কলকাতা প্রেস ক্লাবে এই সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হল। ঘোষণা করেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি এই নয়া সংগঠনের সভাপতিও।

    সংগঠনে রয়েছেন জনপ্রতিনিধি, স্বাস্থ‌্য ব‌্যবস্থার নানান স্তরের মানুষ। প্রোগ্রেসিভ হেলথ অ‌্যাসোসিয়েশনের সম্পাদকের দায়িত্বে রামপুরহাট মেডিক‌্যাল কলেজের অধ‌্যক্ষ ডা. করবী বরাল। নয়া সংগঠনের সহ-সভাপতি ডা. রানা চট্টোপাধ‌্যায়, ডা. তাপস চক্রবর্তী, ডা. নির্মল মাজি, সাগরদত্ত মেডিক‌্যাল কলেজের চিকিৎসক ডা. সুব্রত মণ্ডল, দিনহাটা সাব ডিভিশনাল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. কল্লোল বন্দ্যোপাধ‌্যায়। উপদেষ্টা মণ্ডলীতে রয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ ডা. রত্না দে নাগ, সাংসদ ডা. কাকলী ঘোষ দস্তিদার, মন্ত্রী ডা. মানস ভুঁইয়া।

    সংগঠনের সদস‌্যরা জানিয়েছেন, স্বাস্থ‌্যক্ষেত্রের এই সংগঠন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক। শশী পাঁজার কাছে তৃণমূলের রাজ‌্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের আবেদন, ‘‘মুখ‌্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায় স্বাস্থ‌্য পরিকাঠামোয় যে উন্নয়ন করেছেন তার সুফল আরও বেশি করে যাতে সাধারণ মানুষ পায়, সেটা দেখুন। পাশাপাশি চক্রান্তকারীরা যাতে স্বাস্থ‌্যক্ষেত্রে কোনও অনভিপ্রেত পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, সেটাও দেখতে হবে।” 

    সংগঠনের সদস‌্য তালিকা থেকে পরিষ্কার, বাংলার প্রতিটি জেলা থেকে বাছাই করা চিকিৎসক, স্বাস্থ‌্য ক্ষেত্রের কৃতিদের রাখা হয়েছে। প্রোগ্রেসিভ হেলথ অ‌্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক পদে রয়েছেন কল‌্যাণী গান্ধী হাসপাতালের ডা. জয়া মজুমদার। সহকারী সম্পাদক পদে বিধায়ক খগেন মাহাতো, মুর্শিদাবাদ মেডিক‌্যাল কলেজের ডা. সুমন বিশ্বাস, জলপাইগুড়ির সহকারী মুখ‌্য স্বাস্থ‌্য আধিকারিক ডা. শুভদীপ সরকার। কোষাধ‌্যক্ষর দায়িত্ব সামলাবেন ডা. শিল্পা বসু রায়। সহকারী কোষাধ‌্যক্ষর দায়িত্বে বর্ধমান মেডিক‌্যাল কলেজের ডা. সুব্রত সেন, মেদিনীপুর মেডিক‌্যাল কলেজের ডা. রবি হেমব্রম, আর জি কর মেডিক‌্যাল কলেজের ডা. দীপাঞ্জন হালদার। সংগঠনের কার্যকরী সদস‌্যর তালিকায় রয়েছেন ফুলিয়ার ব্লক স্বাস্থ‌্য আধিকারিক ডা. পূজা মৈত্র, নাগরাকাটা ব্লক স্বাস্থ‌্য আধিকারিক ডা. মোল্লা ইরফান হুসেন, ডা. সৌত্রিক রায়, আর জি কর মেডিক‌্যাল কলেজের ডা. জয়ন্ত সরকার, বিধায়ক ডা. সপ্তর্ষী বন্দ্যোপাধ‌্যায়, জলপাইগুড়ির চিকিৎসক ডা. সুশান্ত কুমার রায়, জয়েন্ট ডিরেক্টর অফ হেলথ সার্ভিস ডা. দিলীপ মণ্ডল, উত্তরবঙ্গ মেডিক‌্যাল কলেজের ডা. বিশ্বজিৎ দত্ত, ডা. রাজীব প্রসাদ, এসএসকেএম হাসপাতালের ডা. সুবেশা বসু রায়, রায়গঞ্জ মেডিক‌্যাল কলেজের ডা. শ‌্যামশ্রী চাকী, বালুরঘাটের ডা. হিমাংশু বর্মন, দক্ষিণ দিনাজপুরের মুখ‌্য স্বাস্থ‌্য আধিকারিক ডা. সুদীপ দাস, রামপুরহাট মেডিক‌্যাল কলেজের ডা. স্বরূপ সাহা, গার্ডেনরিচ হাসপাতালের ডা. খাজা আলিম আহমেদ, নীলরতন সরকার মেডিক‌্যাল কলেজের ডা. সৌম‌্যজিৎ মল্লিক, কৃষ্ণনগরের ব্লক স্বাস্থ‌্য আধিকারিক, ডা. বিশ্বদীপ মজুমদার, হরিণঘাটার ডা. রাজু কবিরাজ, রানাঘাট সাব ডিভিশনাল হাসপাতালের ডা. অপর্ণা মজুমদার, আরজিকর মেডিক‌্যাল কলেজের ডা. কৌস্তভ রায়, ডা. রাজর্ষী দত্ত, মালবাজার সাব ডিভিশনাল হাসপাতালের ডা. অর্ক কান্তি, ডা. রজত দে, মালদহ মেডিক‌্যাল কলেজের ডা. শীর্ষ চক্রবর্তী, স্বাস্থ‌্যভবনের আধিকারিক ডা. প্রিয়াঙ্কা রানা, দার্জিলিংয়ের ডা. শুভাঙ্গ বন্দ্যোপাধ‌্যায়, ডা. তুষার শীল।

    শশী পাঁজা জানান, এই সংগঠনের মূল উদ্দেশ‌্য সাধারণ মানুষের মধ্যে সর্বোত্তম স্বাস্থ‌্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া। দ্বিতীয়ত চিকিৎসক-নার্স এবং অন‌্যান‌্য স্বাস্থ‌্যকর্মীদের মধ্যে দৃঢ় সমন্বয় গড়ে তোলা। সবশেষে স্বাস্থ‌্য ব‌্যবস্থায় শৃঙ্খলা বজায় রাখা। ডা. রানা চট্টোপাধ‌্যায় জানিয়েছেন, সরকারী স্বাস্থ‌্য পরিষেবা অব‌্যাহত রাখার জন্যও কাজ করবে সংগঠন। হাসপাতালে যে কোনও ধরনের হিংসা ঠেকাতে সচেতনতা গড়ে তুলবে। হাসপাতালে জন পরিষেবা ব‌্যাহত করে এমন যে কোনও কাজকে প্রতিহত করতে হবে বলে জানান তিনি।
  • Link to this news (প্রতিদিন)