‘মহিলাদের সাথে মহিলাদের পাশে’, প্রচারে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন বই ‘দিদি’
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
হাতে সময় বলতে ১৪ মাস। তারপর বাংলায় ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন। সেদিক দিয়ে দেখলে অনেকটা সময় আছে রাজ্য–রাজনীতির কারবারিদের হাতে। তবে এখন থেকে সব রাজনৈতিক দলই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে। তার মধ্যে অভিনব হল তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ এবারের বিধানসভা নির্বাচনে মহিলাদের ভোটের উপর বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে মহিলাদের জন্য একাধিক প্রকল্প এনেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক প্রচারের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হচ্ছে বই।
কী সেই বই? কী আছে সেখানে? বই প্রকাশের খবর প্রকাশ্যে আসতেই এইসব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রথমে জানিয়ে রাখা ভাল যে, ওই বইটির নাম, ‘দিদি’। আর এই ‘দিদি’ বইয়ের নিচে লেখা রয়েছে, ‘মহিলাদের সাথে মহিলাদের পাশে।’ সুতরং একটা বিষয় স্পষ্ট যে, মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের জন্য যেসব প্রকল্প এনেছেন সেসবের উল্লেখ তো থাকছেই, এমনকী কোন প্রকল্প কতজন মহিলা পেয়েছেন তার হিসাবও তুলে ধরা হবে। সামাজিক প্রকল্পগুলিতে কেমন সুবিধা মিলছে সেটাও লেখা থাকছে। এই বইটি তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস তৈরি করেছে। যার লক্ষ্য একটাই, দলের মহিলা কর্মীদের প্রকল্পগুলি নিয়ে যাতে সুস্পষ্ট ধারণা থাকে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে তৃতীয়বার বাংলার মসনদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসার পর থেকে কথা রেখেছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, মেধাশ্রী–সহ নানা সামাজিক প্রকল্প মহিলাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। তার জেরে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে সমস্ত নির্বাচনে বিরোধীদের আর প্রভাব পড়েনি রাজ্য–রাজনীতিতে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও ঘাসফুলের ঝড় দেখা গিয়েছে। সমস্ত উপনির্বাচনেও এসেছে একের পর এক সাফল্য। এখন রাজ্যে কোনও ভোট নেই। তবে প্রত্যেকটি ভোটেই তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল জয় পেয়েছে। নেপথ্যে ছিল মহিলা ভোটব্যাঙ্ক।
এমনকী আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পরও বাংলার মানুষ ভরসা রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উপরই। এখন রাজ্যজুড়ে ‘দুয়ারে সরকার’ চলছে। এই আবহে ‘দিদি’ বই প্রকাশ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এই বই শুধু যে দলের মহিলাদের সচেতন করবে তা নয়, বরং রাজ্যের মহিলাদেরও ওয়াকিবহাল করবে। সেক্ষেত্রে অটুট থাকবে মহিলা ভোটব্যাঙ্ক। ইতিমধ্যেই আজ, সোমবার আত্মপ্রকাশ করল চিকিত্সকদের নয়া সংগঠন। যার নাম, প্রোগ্রেসিভ হেলথ অ্য়াসোসিয়েশন। এই সংগঠনের সভাপতি পদে থাকছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা।