• ‘মনুয়া কাণ্ড’-এর ছায়া এ বার কুলপিতে, প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে কুপিয়ে খুন স্ত্রীর?
    এই সময় | ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • কুলপিতে ‘মনুয়া কাণ্ড’-এর ছায়া। প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির তুলসী চক এলাকার। সোমবার রাতে নিজের বাড়ির সামনে কুলপির বাসিন্দা গৌতম হালদারের রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। রাতেই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। 

    স্থানীয়দের অভিযোগ, গৌতমের স্ত্রী প্রতিমা দীর্ঘদিন ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে যুক্ত ছিলেন গুরুদাস গায়েন নামে জামতলার এক যুবকের সঙ্গে। উল্লেখ্য, জামতলাতেই বাপের বাড়ি প্রতিমার। ১৬ বছর আগে গৌতমের সঙ্গে প্রতিমার বিয়ে হয়। কিন্তু সেই সম্পর্ক সুখের হয়নি। স্ত্রীর সঙ্গে অন্য একজনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা জানাজানি হওয়ার পরে গৌতমের সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত। একাধিকবার অশান্তির জল গড়িয়েছিল পুলিশ পর্যন্ত। গ্রামে সালিশি সভা বসিয়ে তাঁদের মিটমাট করে নিতেও বলা হয়েছিল। ১৪ বছরের মেয়ের মুখ চেয়ে স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে রাজি হয়েছিলেন গৌতম, দাবি তাঁর দিদির।

    প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের সন্দেহ, সোমবার রাতে পেশায় টোটো চালক গৌতমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে গুরুদাসই। ইতিমধ্যেই গুরুদাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রতিমা মণ্ডলকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত? তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। 

    পুলিশের অনুমান, ত্রিকোণ প্রেমের জন্যই এই খুন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ আরও স্পষ্ট হবে। প্রতিমা এবং গুরুদাসের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন গৌতমের ভাই এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।

    উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ২ মে স্বামী অনুপম সিংকে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল স্ত্রী মনুয়া মজুমদার (সিংহ) এবং তার প্রেমিক অজিত রায়ের বিরুদ্ধে। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই অনুপমকে খুন করে অজিত। ঘটনায় ২ জনকেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। 

  • Link to this news (এই সময়)