• বেআইনি নির্মাণ রুখতে ফি মকুব, সঙ্গে বাড়তি ছাড়, ঘোষণা পুরসভার
    এই সময় | ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • কলকাতা শহরে পরের পর বহুতল হেলে পড়ার ঘটনায় বিড়ম্বনায় কলকাতা পুরসভা। এই অবস্থায় বেআইনি নির্মাণ ঠেকাতে অভিনব সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা! মহানগরে বাড়ি বানাতে গেলে বিল্ডিং ফি বাবদ মোটা টাকা দিতে হয়। সেই টাকা বাঁচাতে বেআইনি নির্মাণ করেন অসাধু প্রোমোটাররা।

    সেই বেআইনি নির্মাণ আটকাতে উদ্বাস্তু কলোনি এবং ঠিকা জমিতে বিল্ডিং ফি মকুব করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে বাড়ি তৈরির সময়ে চারিদিকে যে জায়গা (এফআর)) ছেড়ে রাখতে হয়, তাতেও অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হবে। এর জন্য কলকাতা পুর আইন সংশোধনের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠাতে চলেছে পুরসভা।

    এ বিষয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাতে রয়েছেন পুরসভার জঞ্জাল সাফাই বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার, বস্তি বিভাগের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার, আইন বিভাগের মেয়র পারিষদ বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় চট্টোপাধ্যায় এবং সোশ্যাল বিভাগের মেয়র মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়।

    এছাড়াও কমিটিতে রয়েছেন পুর কমিশনার, বিল্ডিং বিভাগের ডিজি, চিফ মিউনিসিপ্যাল ল–অফিসার এবং চিফ মিউনিসিপ্যাল ফিনান্স অ্যান্ড অডিট অফিসার। সোমবার কমিটির প্রথম বৈঠকের পরে দেবব্রত মজুমদার বলেন, ‘কলোনি এবং উদ্বাস্তু এলাকায় বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে বিল্ডিং ফি মকুবের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার জন্য আইন তৈরি করতে হবে।

    এর জন্য রাজ্য সরকারের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠানো হবে। কলকাতা পুর আইন সংশোধন করতে গেলে বিধানসভায় নতুন বিল আনতে হয়। সেই বিল পাশ হওয়ার পর রাজ্যপাল তাতে সই করেন। তারপরই সেই আইন কার্যকর হয়।’ তবে কতটা ছাড় দেওয়া হবে, সেটা স্থির হয়নি।

    পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের এক আধিকারিকের ব্যাখ্যা, তিন কাঠা জমিতে কেউ যদি আইন মেনে তিন তলা বাড়ি করেন তাহলে তাঁকে প্রায় ৭০–৭৫ হাজার টাকা বিল্ডিং ফি দিতে হয়। তার মধ্যে ড্রেনেজ ডেভলপমেন্ট ফি–ও ধরা থাকে। বাড়ির চারপাশে নির্দিষ্ট পরিমাণ জায়গা ছাড়তে হয়। রাস্তা সঙ্কীর্ণ হলে উঁচু বাড়ি করা যায় না।

    কলকাতা শহরের যে সব জায়গায় কলোনি এবং ঠিকা জমি রয়েছে, সেখানে রাস্তা খুব একটা চওড়া হয় না। ফলে দোতলার বেশি বাড়ি তৈরির অনুমতি মেলে না। সেই কারণেই এই সব জায়গায় বেআইনি নির্মাণের প্রবণতা বেশি। বিল্ডিং ফি মকুব হয়ে গেলে এবং বাড়তি এফএআর মিললে কলোনি এবং ঠিকা জমিতে বেআইনি নির্মাণ কমবে বলে মনে করছেন পুরকর্তারা।

  • Link to this news (এই সময়)