শ্বশুরবাড়ি থেকে ট্রাক্টর কেনার টাকা দিতে অস্বীকার, স্ত্রীকে বিষ খাইয়ে খুনের চেষ্টা
বর্তমান | ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: ট্রাক্টর কেনার জন্য ২লাখ টাকা না আনায় বিয়ের চারমাসের মাথায় স্ত্রী’কে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। সোনামুখী থানার পুলিস বিষ্ণুপুরের তারাজুড়ি থেকে বিজয় রায় নামে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতের বাড়ি লায়েকবাঁধ গ্রামপঞ্চায়েতের অন্তর্গত তারাজুড়ি গ্রামেই। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী’কে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। তার ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের এপ্রিলে বিষ্ণুপুরের তারাজুড়ির বাসিন্দা ভৈরব রায়ের ছেলে বিজয়ের সঙ্গে সোনামুখী থানার আমঘাটা গ্রামের স্বপন রায়ের মেয়ে প্রিয়াংকার বিয়ে হয়। বিয়েতে নগদ ১ লক্ষ টাকা ছাড়াও পাঁচ ভরি সোনার অলংকার এবং অন্যান্য দানসামগ্রী পাত্রপক্ষকে দেওয়া হয়। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই একটি ট্রাক্টর কেনার জন্য প্রিয়াংকাকে বাবার বাড়ি থেকে দু’লক্ষ টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া হয়। প্রিয়াংকা তা না আনায় ওই নিয়ে বাড়িতে অশান্তি শুরু হয়। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। ওই বছরের ২১সেপ্টেম্বর বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য বিজয় তার স্ত্রী’কে সঙ্গে নিয়ে আমঘাটায় শ্বশুরবাড়িতে যায়। শ্বশুরমশাইয়ের কাছে সে সরাসরি টাকা চেয়ে বসে। কিন্তু স্বপনবাবু অত টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয় বলাতেই সমস্ত আক্রোশ প্রিয়াংকার উপর গিয়ে পড়ে। ওইদিনই দুপুরে শ্বশুরবাড়িতেই প্রিয়াংকাকে জোর করে বিষ খাইয়ে চম্পট দেয়। চিৎকার শুনে বাড়ির লোকেরা প্রিয়াংকাকে উদ্ধার করে সোনামুখী ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করেন। দু’দিন বাদে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেলেও সংসারের আশায় প্রিয়াংকা তার স্বামী অথবা শ্বশুরবাড়ির কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। কিন্তু এতসবের পরেও অনুশোচনা তো দূরের কথা, প্রিয়াংকাকে ক্রমাগত খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাই সংসারের আশা একরকম ছেড়ে দেন। সম্প্রতি স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির কঠিন শাস্তি চেয়ে সোনামুখী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিস সোমবার বিজয়কে গ্রেপ্তার করে।