উজির আলি, চাঁচল: সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে মালদহের চাঁচলে শুরু হয়েছে আটদলীয় নেতাজি কাপ নকআউট ফুটবল টুর্নামেন্ট। চাঁচল কলেজ হস্টেল মাঠে উমরপুর রাজাটোলা শান্তি ক্লাবের উদ্যোগে টুর্নামেন্টের সূচনা পর্বে ছিলেন মালতীপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি, চাঁচলের প্রাক্তন বিধায়ক আসিফ মেহবুব, চাঁচল থানার আইসি পুর্ণেন্দু কুণ্ডু, চাঁচল-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি জাকির হোসেন, প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য সামিউল ইসলাম ও চাঁচল কলেজের অধ্যাপক মহিদুর রহমান সহ অন্যরা।
রবিবার প্রথম দিনে মুখোমুখি হয় চাঁচল এফসি ও চাঁচল নয়াটোলা অগ্নিফৌজ ক্লাব। ১-০ ব্যবধানে জয়ী হয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছয় চাঁচল এফসি। সোমবার দ্বিতীয় দিনে মুখোমুখি হয় হারো হাজরা বিপ্লবী ক্লাব ও দক্ষিণ শহর আদিবাসী মারাং ক্লাব। নির্ধারিত সময়ে খেলা ২-২ গোলে শেষ হয়। ট্রাইবেকারে জিতে সেমিতে পৌঁছয় মারাং ক্লাব। ক্লাবের সম্পাদক বাবু সরকার বলেন, চ্যাম্পিয়ন দলকে ৭৫ হাজার ও রানার্সদের ৫০ হাজার টাকা ও ট্রফি দেওয়া হবে। দলগুলিকে কোনও এন্ট্রি ফি দিতে হচ্ছে না। শান্তি ক্লাবের সদস্য সংখ্যা ১২০ জন। তাঁদের খেলার প্রতি আগ্রহের জন্যই প্রতি বছর এরকম একটা বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা। ক্লাবের সদস্য রানা, রিন্টু, শুখু ও হাবিব আলিদের কথায়, এলাকার যুবকদের মাঠমুখী করতেই এই উদ্যোগ। এলাকার ক্লাবগুলি টুর্নামেন্টে নাম লেখালেও বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফুটবলার নিয়ে আসে তারা। নাইজেরিয়ান প্লেয়াররাও খেলছেন বলে মাঠে হাজার হাজার দর্শক আসছেন। রহিম বক্সি বলেন, রাজ্য সরকারের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দপ্তর ক্লাবগুলিকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করে থাকে। এই ক্লাবও যাতে সাহায্য পায়, সেই চেষ্টা করব।
চাঁচলের প্রাক্তন বিধায়ক আসিফ মেহবুবের বক্তব্য, এলাকায় এই ধরনের টুর্নামেন্ট বেশি করে হলে মাঠমুখী হবে নতুন প্রজন্ম। তারা মোবাইল ছেড়ে মাঠে এলে এই উদ্যোগ সফল হবে।