নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ি শহরজুড়ে বাড়ছে মাদকাসক্তদের তাণ্ডব। গভীর রাতে নেশার টাকা জোগাড় করতে বিভিন্ন এলাকায় চুরি করছে এরা। জলের পাইপ থেকে শুরু করে এসি’র তার চুরির ঘটনায় নাম জড়াচ্ছে মাদকাসক্তদের। শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে সরকারি সম্পত্তি চুরি করল এমনই একদল দুষ্কৃতী। শিলিগুড়ি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের জেনারেটরের চারটি ব্যাটারি চুরি করার ঘটনা সোমবার প্রকাশ্যে আসে। সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে রবিবার ছুটি থাকার সুযোগ নিয়ে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে চোর। জেনারেটর রুমের তালা সহ দরজার হাতল খুলে চারটি ব্যাটারি চুরি করা হয়েছে। জেনারেটর রুমের দায়িত্বে থাকা কর্মীর দাবি, ওই ব্যাটারির দাম প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। খবর পেয়ে শিলিগুড়ি থানার পুলিস এসে প্রাথমিক তদন্ত করে যায়।
এ প্রসঙ্গে মেট্রোপলিটন পুলিসের ডিসিপি (পূর্ব) রাকেশ সিং বলেন, আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাতে টহল বাড়ানো হচ্ছে।
শহরে মাদকাসক্তদের তাণ্ডব নিত্যদিন পুলিসেরও মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। শহরে টোটো, বাইক, সাইকেল চুরি হোক বা ছিনতাই সবকিছুতেই মাদকাসক্তদের নাম জড়াচ্ছে। চুরি করা জিনিসপত্র সামান্য কিছু টাকায় বিক্রি করে নেশার সামগ্রী কেনাই এদের মূল লক্ষ্য। সম্প্রতি এনজেপি থানার পুলিস ২৩টি সাইকেল সহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করে। জেরায় জানা যায় নেশার টাকা জোগাড় করতে সে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাইকেল চুরি করছিল। বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাট থেকে এসি মেশিনের তার চুরির ঘটনায় মাদকাসক্তদের একাংশ জড়িত বলে পুলিস জানিয়েছে।
কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের জেনারেটরের ব্যাটারি চুরির ঘটনার পিছনেও এমনই কারণ লুকিয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করছে পুলিস। ওই জেনারেটর ঘরের দু’পাশে রাস্তা। কোন দিকের রাস্তা দিয়ে চোর এসেছিল এবং কোন দিকের রাস্তা দিয়ে গিয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। আকারে বড় ওই ব্যাটারিগুলি কোনওভাবেই একার পক্ষে চুরি করে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। কাজেই এ ঘটনায় একাধিক দুষ্কৃতী জড়িত বলে পুলিসের দাবি। স্টেডিয়ারের কর্মীদেরকেও তদন্তের স্বার্থে ডাকা হতে পারে বলে তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন।