• বন্দি পালানোর ঘটনার পুনর্নির্মাণ
    বর্তমান | ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: কীভাবে, কখন আগ্নেয়াস্ত্র হাতে পেয়েছিল গ্যাংস্টার সাজ্জাক আলম? পাঞ্জিপাড়ায় পুলিসকে কীভাবে গুলি চালিয়ে, কোনপথে পালিয়েছিল সাজ্জাক ও তার সঙ্গীরা? পাঞ্জিপাড়াকাণ্ডে এমনই সমস্ত খুঁটিনাটি তথ্য খতিয়ে দেখতে সোমবার বন্দি পলায়নকাণ্ডের পুনর্নির্মাণ করল ইসলামপুর জেলা পুলিস। সেইসঙ্গে সাজ্জাক এনকাউন্টার কাণ্ডের তদন্ত প্রক্রিয়া হাতে নিল রাজ্য পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি। 


    ইসলামপুরের পুলিস সুপার জবি থমাস বলেন, পাঞ্জিপাড়া থেকে বন্দি পলায়নকাণ্ড ও সাজ্জাকের এনকাউন্টারে মৃত্যুর দুটি পৃথক কেস রুজু হয়েছিল। পাঞ্জিপাড়া থেকে বন্দি পলায়নকাণ্ডের তদন্ত এখনও ইসলামপুর জেলা পুলিসই চালিয়ে যাচ্ছে। তবে কিচকতলায় সাজ্জাকের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত নিয়ম অনুসারে হস্তান্তর হয়ে গিয়েছে সিআইডির হাতে। এখন তারাই ওই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে। ওই কেসের যাবতীয় নথিপত্র রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। 


    এদিকে এদিন বন্দি পলায়নকাণ্ড কেসের পুনর্নির্মাণ করেছে পুলিস। ধৃত সাজ্জাকের সঙ্গী আব্দুল হোসেন ও হজরতকে সঙ্গে নিয়ে এই গোটা পর্ব সম্পন্ন হয়। পুলিস এদিন তাদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। সেখানে কে, কীভাবে সাজ্জাকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দিয়েছিল, সেই বিষয়টি পুনর্নির্মাণ করা হয়। এক্ষেত্রে আব্দুল ও হজরতের ভূমিকা খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। 


    ১৫ জানুয়ারি রায়গঞ্জ জেলা সংশোধনাগার থেকে ইসলামপুর আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সাজ্জাক আলম সহ তিনজন বিচারাধীন বন্দিকে। বিচারপর্বের শেষে সেই বন্দিদের রায়গঞ্জে ফিরিয়ে আনার পথে পাঞ্জিপাড়ায় পুলিসকে গুলি করে পালায় বন্দি সাজ্জাক। তদন্তে নেমে ইসলামপুর জেলা পুলিস জানতে পারে, আব্দুল ও হজরতের নাম। যাদের পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতায় পুলিসের উপর আক্রমণ চালায় সাজ্জাক। 


    তারপর বিস্তর ঘটনা ঘটে গিয়েছে। পুলিস এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে সেই পলাতক বন্দি সাজ্জাকের। গ্রেপ্তার হয়েছে হজরত, আব্দুল, হাবিবুর নামে তিনজন। উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)