সীমান্ত সুরক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব, বিএসএফকে নদীয়ায় জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত রাজ্য মন্ত্রিসভার
বর্তমান | ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি: গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশে লাগাতার অশান্তির আঁচ এসে পড়ছে এপারেও। মাঝেমধ্যেই উত্তেজনা ছড়াচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায়। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত সুরক্ষার স্বার্থে আউটপোস্ট তৈরির জন্য নদীয়ার করিমপুরে বিএসএফকে জমি দিল রাজ্য সরকার। সোমবার মন্ত্রিসভা এই জমি দেওয়ার বিষয়ে ছাড়পত্র দিয়েছে বলে নবান্ন সূত্রের খবর। পূর্বাঞ্চল নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক থেকে শুরু করে কেন্দ্র-রাজ্যের একাধিক বৈঠকে উঠে এসেছে সীমান্তে কাঁটাতার ও আউটপোস্টের জন্য জমির বিষয়টি। বরাবরই যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে এই কাজ করে এসেছে রাজ্য। শুধু তাই নয়, সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে বলতে গিয়ে বিএসএফকে আরও সজাগ থাকার কথাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সূত্রেই রাজ্যের তরফে বিএসএফকে সমস্ত রকম সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন তিনি। এই আবহে সীমান্ত সুরক্ষা সংক্রান্ত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে বিএসএফকে করিমপুরে ০.৯ একর জমি দেওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহল। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এই নদীয়া জেলাতেই সীমান্ত এলাকায় বাঙ্কার তৈরির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।
সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষ্যে এদিন নতুন স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) থানা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। শিলিগুড়ি পুলিস স্টেশনে একটি এবং নবদিগন্ত ভবনে আরেকটি এসটিএফ থানা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর জন্য স্বরাষ্ট্রদপ্তরে ৪০টি পদ সৃষ্টির প্রস্তাব পাশ হয়েছে বলে খবর। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে অশান্তির আবহে এরাজ্যে একাধিক জঙ্গি গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিস তথা এসটিএফের সক্রিয়তার কারণেই এই সাফল্য বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রেক্ষাপটে এসটিএফের নতুন দু’টি থানা গঠন অবশ্যই উল্লেখযোগ্য ঘটনা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। স্বরাষ্ট্রদপ্তর ছাড়াও আইন, শিক্ষা ও সমাজকল্যাণ দপ্তরে নতুন পদ সৃষ্টি এবং নিয়োগের ছাড়পত্র দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের স্টেট প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের জন্য ৯টি নিয়মিত পদ সৃষ্টির ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে সব মিলিয়ে ৬০টি পদ সৃষ্টি ও নিয়োগের সুযোগ তৈরি হয়েছে। প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বাস পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর থেকে পরিষেবা উন্নয়নের লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপ করেছে পরিবহণ দপ্তর। সোমবার চুক্তিভিত্তিক ৮৭৮ জন বাসচালক ও কন্ডাকটর নিয়োগের ক্ষেত্রেও সিলমোহর দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। এসবের মধ্যেই সফলভাবে গঙ্গাসাগর মেলা সম্পন্ন করার জন্য দায়িত্বে থাকা সমস্ত মন্ত্রী ও আমলাকে মুখ্যমন্ত্রী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে সরস্বতী পুজোর দিন নিজ নিজ এলাকায় মন্ত্রীদের নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।