মধ্যমগ্রামে ৩০ কোটি টাকায় গড়ে উঠতে চলেছে ইকো পার্ক
বর্তমান | ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: মধ্যমগ্রাম শহরকে পরিবেশবান্ধব করে তুলতে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে পুরসভা। এবার পুরসভার ১৭ নং ওয়ার্ডে কেএমডিএর টাকায় তৈরি হচ্ছে একটি ইকো পার্ক। প্রায় ৩০ কোটি টাকা খরচে ১০ একর জমির উপর গড়ে উঠবে এই ইকো পার্ক। জোরকদমে চলছে সেই কাজ।
স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের উদ্যোগে এবং মধ্যমগ্রাম পুরসভার ব্যবস্থাপনায় প্রতি বছরই পরিবেশ সচেতনতা মেলা আয়োজিত হয়। এছাড়া, রাস্তাঘাট পরিচ্ছন্ন রাখা, বায়ুদূষণ কমানোর মতো কাজগুলি লাগাতার করে চলেছে পুরসভা। পরিবেশের স্বার্থে এসব কাজের তালিকায় এবার নতুন সংযোজন হতে চলেছে এই দৃষ্টিনন্দন ইকো পার্ক। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পানিহারা এলাকায় ধীরে ধীরে রূপ পাচ্ছে এই পরিবেশবান্ধব উদ্যান। ভিতবে থাকবে বড় জলাশয়। সেখানে থাকবে বেটিংয়ের ব্যবস্থা। জলাশয়ের উপর দিয়ে থাকবে একটি অভিনব ব্রিজ। এছাড়া অত্যাধুনিক অ্যাকোয়ারিয়াম, আলো, সাউন্ড সিস্টেম ইত্যাদি থাকবে। সেই সঙ্গে থাকবে ফুড কোর্ট। পুরসভা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে গাছ নির্বাচনে। বিভিন্ন প্রজাতির দুষ্প্রাপ্য গাছ বসানো হবে এখানে। সেই সঙ্গে থাকছে শিশুদের খেলার মাঠ, বয়স্কদের বসার জায়গা। মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ বলেন, ‘পার্কটি অত্যাধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে আমরা বদ্ধপরিকর। ইকো পার্কে যাওয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভালো আছে। মধ্যমগ্রাম, বারাসাত শহর হোক বা এয়ারপোর্ট—বিভিন্ন জায়গা থেকে সহজেই এখানে যাওয়া যাবে। ডানলপ ও বারাকপুরের দিক থেকেও এই এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ ভালো।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘নিউটাউনের ইকো পার্কের মতো করেই এই পার্কটি গড়ে তোলার ভাবনা রয়েছে আমাদের। প্রতিনিয়ত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন কেএমডিএর আধিকারিকরা। পার্কের কাজ চলছে জোরকদমে। চারপাশে গার্ডওয়াল তৈরি হয়ে গিয়েছে।’ মন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, ‘২০২০ সালে আমি চেয়ারম্যান থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে এনিয়ে আলোচনা হয়। তারপর কেএমডিএর পক্ষ থেকে ইকো পার্ক তৈরির অনুমোদন মেলে। কিন্তু ফান্ড সংক্রান্ত কারণে কাজ দেরিতে শুরু হয়। আশা করছি, চলতি বছরেই পার্ক চালু হয়ে যাবে। পার্কটি মধ্যমগ্রাম সহ আশপাশের মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। সেই সঙ্গে হবে পরিবেশ রক্ষাও।’ নিজস্ব চিত্র