• ২০০ ছাত্র আর মাত্র দুই শিক্ষক নিয়ে ধুঁকছে পাঁচপুকুর জ্যোতিষচন্দ্র আদিবাসী শিক্ষাকেন্দ্র
    বর্তমান | ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বারুইপুর: বিদ্যালয়ে দু’জন মাত্র শিক্ষক। তার মধ্যে একজন এপ্রিল মাসে অবসর নিতে চলেছেন। তারপর সমস্যা আরও চরমে উঠবে বলে মনে করছেন অভিভাবকরা। গ্রামের কেউই চান না স্কুল বন্ধ হয়ে যাক। প্রশাসনের সবস্তরে আবেদন জানানো হয়েছিল। তবে কোনও কাজ হয়নি। এই অবস্থায় কোনওরকমে খুঁড়িয়ে চলছে রায়দিঘির মথুরাপুর দুই নম্বর ব্লকের পাঁচপুকুর জ্যোতিষচন্দ্র আদিবাসী মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত টিচার ইন চার্জ সৌরেন্দ্রনাথ হালদার বলেন, ‘ব্লক অফিস থেকে শুরু করে সব জায়গায় জানিয়েছি। কিন্তু কাজ হয়নি। পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। জানি না কী হবে পরবর্তীকালে।’ রায়দিঘির বিধায়ক ডঃ অলোক জলদাতা বলেন, ‘স্কুল যাতে কোনওভাবে বন্ধ না হয় তা দেখব।’ 


    স্কুলটিতে মূলত তপসিলি জাতি-উপজাতির ছেলে-মেয়েরা পড়াশোনা করে। ২০০২ সাল পর্যন্ত ছ’জন শিক্ষক ছিলেন। বর্তমানে দু’শোরও বেশি ছাত্র পড়াশোনা করে। দু’জন শিক্ষকের মধ্যে একজন অনুপস্থিত থাকলেই স্কুল চালাতে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। একজন শিক্ষককে সব ক্লাসই নিতে হয়। নবম শ্রেণির এক ছাত্র বলে, ‘একটি বড় হলঘরে তিন-তিনটি ক্লাস হয়। স্যার আমাদের ক্লাসে এসে টাস্ক দিয়ে অন্য ক্লাসে চলে যান। তারপর আবার সেই ক্লাস থেকে ঘুরে আমাদের ক্লাসে আসেন।’ অন্য এক ছাত্রের আশঙ্কা, ‘শিক্ষকের অভাবে যে কোনও দিন বন্ধ হয়ে যাবে স্কুল।’ পঞ্চম শ্রেণির এক পড়ুয়া বলে, ‘স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের পাঁচ কিলোমিটার দূরের অন্য একটি স্কুলে যেতে হবে।’ বিমল মাহাত নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘এই স্কুলে আমরাও পড়াশোনা করেছি। এখন আমাদের ছেলে-মেয়েরা পড়ছে। অবিলম্বে আরও শিক্ষক নিয়োগ করা উচিত। প্রশাসনের অবশ্যই নজর দেওয়া উচিত। না হলে বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হবে।’  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)