দু’ভাগ হবে বর্জ্য, এবার ঢেলে সাজছে চুঁচুড়া শহরের জঞ্জাল ব্যবস্থাপনা প্রকল্প
বর্তমান | ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: চুঁচুড়া শহরের জঞ্জাল পুনর্ব্যবহারের প্রকল্পকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজে গতি আনতে ওই পদক্ষেপ করেছে চুঁচুড়া পুরসভা। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে সুকান্তনগরে জঞ্জাল পুনর্ব্যবহারযোগ্য করার কারখানা করা হচ্ছে। সেখানে মূলত প্লাস্টিক বা ওই জাতীয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হবে। আর অন্যান্য বর্জ্যকে বায়োগ্যাস প্রকল্পের জন্য চন্দননগর পুরসভায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। চন্দননগর পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে বায়োগ্যাস তৈরির প্রকল্প তৈরি করছে রাজ্য সরকার। পুরকর্তাদের দাবি, শহরে প্রতিদিন যে পরিমাণ বর্জ্য মজুত হয়, তাতে এই ব্যবস্থাই উপযুক্ত। তাতে জঞ্জালের স্তূপ জমার সম্ভাবনা কমবে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, চুঁচুড়া পুরসভা আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করছে। এখানে স্থায়ী ডাম্পিং গ্রাউন্ড এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প ছিল না। ফলে বিপুল জঞ্জাল মজুত হয়ে যায়। সেই আবর্জনার পুরোটাই দিল্লির একটি সংস্থাকে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। ফলে, নতুন প্রকল্প শুরুর সময় পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে মজুত আবর্জনা কার্যত থাকবে না বললেই চলে। পুরসভার সিআইসি সদস্য জয়দেব অধিকারী বলেন, মজুত আবর্জনার সবটাই আমরা সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছি। তাতে নতুন প্রকল্প শুরু করতে সুবিধা হবে। পরবর্তীকালে জঞ্জাল ব্যবস্থাপনা প্রকল্পকেও আমরা দু’ভাগে ভাগ করে দিচ্ছি। একটি অংশ বায়োগ্যাস তৈরির জন্য চন্দননগরে চলে যাবে। অন্য অংশ অর্থাৎ প্লাস্টিক বা ওই জাতীয় উপাদানকে আমাদের কারখানায় পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হবে। এতে বিপুল বর্জ্য জমার সম্ভাবনা কার্যত থাকবে না। চুঁচুড়া শহরে প্রতিদিন প্রচুর আবর্জনা জমে। ফলে, আমাদের সেই নিরিখেই পরিকল্পনা সাজাতে হয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায় বলেন, যে কোনও শহরের জন্যই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সঠিক হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। চুঁচুড়ায় দেরিতে হলেও আমরা বিজ্ঞানসম্মত পদক্ষেপ করছি।
চুঁচুড়া পুরসভার নিজস্ব ডাম্পিং গ্রাউন্ড ছিল না। সম্প্রতি সেই কাজ শুরু হয়েছে। তারপরেও বড় সমস্যা রয়ে গিয়েছিল। তা হল শহরে মজুত আবর্জনা। সেই সমস্যার সমাধানে এবার নির্দিষ্ট পথ বের করতে পেরেছেন পুরকর্তারা। যা শহরের আবর্জনা সাফাই ব্যবস্থাকে অনেকটাই গতিশীল করবে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। শহরের মজুত আবর্জনাকে দু’ভাগে ভাগ করে দিলে ডাম্পিং গ্রাউন্ডেও স্থানাভাব হবে না। প্রসঙ্গত, চন্দননগরের বায়োগ্যাস তৈরির প্রকল্পের সঙ্গে তিনটি পঞ্চায়েতও জুড়তে চলেছে। কারণ, সেখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা বেশি।