• নতুন রূপে সেজে উঠবে বিবাদী বাগ  চত্বর, পরিকল্পনা কলকাতা পুরসভার
    বর্তমান | ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পথে পথে উধাও ব্রিটিশ আমলের নকশার আদলে কাস্ট আয়রনের রেলিং, কাঠের বেঞ্চের হাতল, রাস্তার বাতিস্তম্ভের অংশবিশেষ সহ বিভিন্ন সরকারি সামগ্রী। অভিযোগ, সেগুলি কোথাও চুরি গিয়েছে কিংবা খোয়া গিয়েছে। ডালহৌসি বা বিবাদী বাগ, রাজভবনের একাংশে রাস্তায় থাকা এই সমস্ত সরকারি আসবাবপত্র তাই নতুন করে লাগিয়ে গোটা অঞ্চল ফের সাজানোর পরিকল্পনা করেছে কলকাতা পুরসভা। ডিপিআর তৈরির কাজ চলছে।


    পুরসভার পরিবেশ ও হেরিটেজ বিভাগ সূত্রের খবর, ব্রিটিশ আমলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গোটা ডালহৌসি স্কোয়্যার সাজানো হয়েছিল। প্রায় ১৮ কোটি টাকা খরচ করে ২০০৬ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে চলে কর্মযজ্ঞ। তৎকালীন সময়ের ধাঁচে কাস্ট আয়রনের রেলিং লাগানো হয়েছিল ফুটপাতজুড়ে। ফুটপাতে বসানো হয়েছিল কালো রঙের পাথর। তৈরি করা হয়েছিল কাস্ট আয়রনের শিকল লাগানো ছোট ছোট রেলিং, ভিক্টোরিয়ান ধাঁচের বাতিস্তম্ভ, কাঠ এবং লোহার তৈরি সুদৃশ্য বসার জায়গা। রাইটার্স বিল্ডিং, সেন্ট জোন্স চার্চ, জিপিও সহ লালদীঘির চারপাশে সেই কাজ হয়েছিল। রাজভবনের পূর্ব এবং পশ্চিম গেটের সংলগ্ন পথেও সেই ধরনের কাজের দেখা মেলে। কিন্তু সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সেই জিনিসগুলির প্রায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ গায়েব। বলা ভালো, চুরি হয়ে গিয়েছে। এক বিভাগীয় কর্তা বলেন, অনেক জায়গায় রেলিংগুলি খুলে চুরি করা হয়েছে। কাঠের বিশেষ ফ্রেমের উপর কাস্ট আয়রনের বাতিস্তম্ভগুলি বসানো। সেগুলির একাধিক অংশ উধাও। বেসরকারি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা অনেক সময় ফুটপাত খুঁড়ে কাজ করে। তখন ওই পুরনো আমলের পাথরের ব্লকগুলি খোলা হয়। তারপর আর লাগানো হয়নি। কোনওভাবে হারিয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গোটা অঞ্চল নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কোন কোন কাজে কত টাকা খরচ হতে পারে, তার হিসাব নিকাশ করা হচ্ছে। 


    আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, নতুন করে লাগানোর পরেও চুরি যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই প্রসঙ্গে মেয়র আশ্বাস দিয়েছেন, গোটা এলাকায় এই সমস্ত সরকারি সম্পত্তি যাতে চুরি না যায়, তার জন্য পুলিসি নজরদারির বিষয়ে তিনি পুলিস কমিশনারের সঙ্গে কথা বলবেন।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)