• ফিল্মি কায়দায় লুঠ! ১৭ লক্ষ খুইয়ে পথে বসলেন গোলপার্কের দম্পতি...
    ২৪ ঘন্টা | ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • সন্দীপ প্রামাণিক: ফিল্মি কায়দায় গোলপার্ক এর এক নিঃসন্তান দম্পতি সাইবার প্রতারণায় সর্বস্বান্ত হয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। শুভাশিস রায়ের স্ত্রী চন্দ্রা রায় জানান, তার স্বামী একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করতেন, ২০২১ সালে কোভিড হয় তারপর থেকে তিনি প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং কাজ ছাড়তে বাধ্য হন। যেটুকু জমানো টাকা ছিল তার ইন্টারেস্টে তাদের সংসার চলত। এখন স্বামীর ওষুধ কেনার পর্যন্ত টাকা তাদের কাছে নেই, শুধু তাই নয় কালকে তারা কি খাবেন সেটাও জানেন না।

    জানা যায়, আশিস বাবুর মোবাইলে একটা ফোন আসে বলা হয়। এসবিআই হেডকোয়ার্টার্স দিল্লি থেকে ফোন করছে এবং তার নামে একটি ক্রেডিট কার্ড ইসু হয়েছে যেটা থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা তিনি খরচ করেছেন। তিনি উত্তরে বলেন, এই ধরনের কোনও ক্রেডিট কার্ড তিনি নেননি বা তিনি ব্যবহারও করেননি। তখন অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়, দিল্লি পুলিস যেহেতু এটার নিয়ে ইনভেস্টিগেশন করছে তাহলে দিল্লি পুলিসকে পুরো বিষয় জানাতে হবে। 

    তারপর তার ফোনের লাইন ট্রান্সফার করা হয় দিল্লি পুলিসকে। দিল্লি পুলিস তাঁর সঙ্গে ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে কথা বলে। ভিডিয়ো কলে তিনি দেখলেন বিরাট ঘরে দিল্লি পুলিসের ড্রেস পড়ে সবাই বসে রয়েছে। সেখান থেকে বলা হলো আপনার নামে ইডির অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট বার হয়েছে এবং তাকে বলা হল আপনার আধার কার্ডের ফটো তুলে এক্ষুনি পাঠাতে।

    এই কথামতো ঘাবড়ে গিয়ে তিনি তার আধার কার্ডের ছবি তুলে তাদেরকে পাঠালেন। আধার কার্ড পাঠানোর এক ঘন্টার পরে তার কাছে ইডির একটা নোটিস আসে যে তাকে এরেস্ট করা হবে। আর এটা নাকি করা হয়েছে যেহেতু একজন প্রায় আড়াই কোটি টাকার উপরে মানি লন্ডারিং করেছেন তার সঙ্গে শুভাশিস বাবু যুক্ত  আছেন। এটা শোনার পরে শুভাশিস বাবু জানান, আমি এসবের মধ্যে ইনভল্ব নই। তখন অপরপ্রান্ত থেকে বলা হয় আমরা কি করে বুঝবো তাহলে আপনি আপনার যা যা সেভিংস আছে সবকিছু হিসেব আমাদের পাঠান।

    তাদের কথা মতন শুভাশিস বাবু তার সেভিংস এর সব কিছু তাদেরকে জানান, পরবর্তীকালে শুভাশি বাবুকে ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা আরটিজিএস করতে বাধ্য করেন তারা। পরবর্তীকালে শুভাশিস বাবু বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন এবং তারপরেই যান গড়িয়াহাট থানায় সেখানে গিয়ে কমপ্লেন করেন। সাইবার সেলে কমপ্লেন রেজিস্টার্ড হয় পরবর্তীকালে কলকাতা সাইবার সেল থেকে জানানো হয় যে সাড়ে তিন লাখ টাকার মতন হোল্ড করতে পেরেছে কিন্তু সাড়ে ১৩ লক্ষ টাকা প্রতারকরা হাতিয়ে নেয়। এমতাবস্থায় সর্বশান্ত হয়ে বিপাকে দম্পতি।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)