• ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে তালাবন্ধ শৌচালয়, সমস্যায় মহিলারা
    এই সময় | ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • রনি চৌধুরী, ধূপগুড়ি

    ইনডোর এবং আউটডোরে প্রতি দিন গড়ে চিকিৎসা করাতে আসেন প্রায় দু’তিন হাজার রোগী। তাঁদের মধ্যে মহিলা প্রায় চল্লিশ শতাংশ। অথচ জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালের শৌচালয়টি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। সমস্যায় রোগী ও তাঁদের পরিজন। গাছের বা ঝোপের আড়ালে শৌচকর্ম করতে হচ্ছে সকলকে।

    ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা মহিলা রোগী ও আত্মীয়দের। সমস্যার কথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালেও সমাধান হয়নি। ২০১৬ সালে মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে এই সুলভ শৌচালয়টি নির্মাণ করা হয় পুরসভার তরফে।

    কিন্তু এক মাসের বেশি সময় ধরে শৌচালয় বন্ধ বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আশপাশের ব্যবসায়ীরা। এত বড় মহকুমা হাসপাতাল অথচ শৌচালয় বন্ধ। কোথায় যাবেন মহিলারা? প্রতি দিন নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে হাসপাতালে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের।

    সোমবার বৃদ্ধা মাকে নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন ধূপগুড়ি পুরসভার বাসিন্দাসুমিত্রা সাহা। তিনি বলেন, ‘এত বড় মহকুমা হাসপাতাল অথচ রোগী ও তাঁদের পরিবারের জন্য নেই কোনও ভালো শৌচালয়। যেটা রয়েছে সেটাও এক মাসের বেশি সময় ধরে তালা লাগানো রয়েছে। পুরুষরা গাছের আড়ালে আবডালে বাথরুম করতে পারেন। কিন্তু আমরা, মহিলারা কী করব? কোথায় যাব। কেউ ভাবে না এ সব নিয়ে। দ্রুত এই শৌচালয়টি খোলা জরুরি।’

    পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অঙ্কিতা দেব বলেন, ‘লজ্জায় অনেক মহিলা হাসপাতালের আশপাশের বাড়িতে গিয়েও বাথরুম করেন। অনেক ক্ষেত্রে আপত্তি করেন বাড়ির মালিকেরা। এমনকী অপমানও করেন। এ সব নিয়ে সত্যিই কেউ ভাবে না।’ কঠিন পরিস্থিতি যে তৈরি হয়েছে স্বীকার করেছেন ধূপগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশকুমার সিং। তিনি বলেন, ‘পুরসভার তরফে শৌচালয়টি বানানো হয়েছিল ২০১৬ সালে। সংস্কারের জন্য বর্তমানে বন্ধ রাখা হয়েছে। খুব শীঘ্রই সেটি খোলা হবে।’

    ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা ব্লক স্বাস্থ্য অধিকারিক অঙ্কুর চক্রবর্তী বলেন, ‘সংস্কারের কারণে শৌচালয় বন্ধ রাখা হয়েছে বলে পুরসভার তরফে আমাকে জানানো হয়েছে। তবে যাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসছেন তাঁদের জন্য হাসপাতালের ভিতরে থাকা বাথরুম খোলা রাখা হয়েছে। সেটা ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। বাইরে থেকে যাঁরা আসছেন তাঁদের কারও সমস্যা হতে পারে।’

  • Link to this news (এই সময়)