• ডেউচা–পাচামিতে খনন কাজ শুরু ফেব্রুয়ারিতে
    এই সময় | ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়: ডেউচা–পাচামি কয়লা ব্লকের কিছু অংশে খনিমুখ সরিয়ে খননের কাজ ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শুরু হবে বলে সোমবার রাজ্য প্রশাসনের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন। তিনি জানান, যেহেতু ডেউচা–পাচামির ৩০ শতাংশ মতো জায়গায় খনিমুখ সরিয়ে খনন ও ভূগর্ভস্থ খনন সম্ভব নয়, সেখানে ভূগর্ভস্থ কোল গ্যাসিফিকেশনের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে রাজ্য সরকার।

    বীরভূমে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই কয়লা ব্লকটির বাকিটায় খনিমুখ সরিয়ে খনন ও ভূগর্ভস্থ খনন করা হবে। প্রাথমিক ভাবে মাইনিং ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড অপারেটার (এমডিও) খনিমুখ খুলতে উপরে থাকা পাথর ও মাটির স্তর সরানোর কাজ করবে। ওই আধিকারিক বলেন, ‘আমরা গুরুত্ব দিয়ে ভূগর্ভস্থ কোল গ্যাসিফিকেশনের সম্ভাবনার বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং এ ব্যাপারে দেশ–বিদেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আমাদের একাধিক বৈঠক হয়েছে।’

    তাঁর সংযোজন, ‘আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, খনিতে মোট কয়লা সঞ্চয়ের ৩০ শতাংশ খনিমুখ খুলে খনন করা হবে। ৪০ শতাংশ কয়লা উত্তোলন করা হবে ভূগর্ভস্থ খননের মাধ্যমে। বাকি ৩০ শতাংশ গ্যাসিফিকেশনের মাধ্যমে উৎপাদন করা হবে। এই বিরাট কয়লা ব্লকে সঞ্চিত কয়লার পুরোটা উত্তোলন করতে গ্যাসিফিকেশন একমাত্র পথ।’

    প্রায় এক হাজার একর জায়গায় গ্যাসিফিকেশন করার কথা বিবেচনায় রয়েছে। ডেউচা–পাচামির কিছু জায়গায় মাটির ৪০০ মিটার নীচে কয়লা রয়েছে। সেখানে ভূগর্ভস্থ কোল গ্যাসিফিকেশন সম্ভবপর কি না, তা দেখতে প্রথমে একটি পাইলট প্রকল্প শুরু করা হবে।

    মোট প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প বীরভূম ও গোটা রাজ্যের জন্য ‘গেম চেঞ্জার’ হতে চলেছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ ও প্রশাসনিক মহল। ওই আধিকারিক জানান, ডেউচা–পাচামিতে ভূগর্ভস্থ খননের জন্য পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম (পিডিসিএল) যে গ্লোবাল টেন্ডার দিয়েছে, তাতে সাড়া মিলেছে।

  • Link to this news (এই সময়)