• ব্যবসায়ী অপহরণে গ্রেপ্তার দুই বি-টেক ডিগ্রিধারী
    এই সময় | ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়, দুর্গাপুর: একজন বি-টেক পাশ করে চাকরি করছিলেন। অন্যজন এম-টেক–এর পড়ুয়া। এই দু’জনকেই অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পশ্চিম বর্ধমানের বুদবুদ থানার পুলিশ! মোট পাঁচ জনকে ধরা হয়েছে।

    অভিযোগ, জয়ন্ত গড়াই নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ বাবদ সাড়ে ছ’লক্ষ টাকা আদায় করেছেন ওই পাঁচ জন। সোমবার সকালে তাঁদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে অভিজিৎ চক্রবর্তী, সুপ্রিয় খাওয়াস, সঞ্জীব বিশ্বাস, সোহম চট্টোপাধ্যায় ও বিমলেশ কুমার ঠাকুরকে বিচারক চার দিনের জন্য জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। তাঁদের সবারই বাড়ি কাঁকসা ও দুর্গাপুরে।

    পুলিশ সূত্রের খবর, এঁদের মধ্যে সুপ্রিয় বছর আটেক আগে একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে বি-টেক করেন। পরে তিনি চাকরি করছিলেন ইসিএল–এ। আর সোহম এখনও দুর্গাপুরের বাইরে একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে এম-টেক করছেন। প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ, নিয়মিত নেশা করতেন তাঁরা। নেশাদ্রব্য জোগাড় করতেই টাকার বদলে এই কাজ করতে সম্মত হন।

    আসানসোল–দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, ‘বিমলেশ এক সময়ে জয়ন্তর কাছে চাকরি করতেন। মাসখানেক আগে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। বিমলেশই যোগাযোগ করেন সঞ্জীবের সঙ্গে। দু'জনে মিলে অপহরণের ছক কষে। অপহরণের সময়ে বিমলেশ অবশ্য ঘটনাস্থলে ছিলেন না।’

    পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, অপহরণের জন্য গাড়ির প্রয়োজন, যা সঞ্জীবের কাছে ছিল না। তিনি প্রথমে যোগাযোগ করেন দীর্ঘ দিনের বন্ধু সুপ্রিয়র সঙ্গে। সুপ্রিয় গাড়ি ও তার চালক অভিজিৎকে জোগাড় করেন। আবার সুপ্রিয়র মাধ্যমেই যোগাযোগ হয় সোহমের সঙ্গে। টাকার বিনিময়ে তিনিও অপহরণে রাজি হয়ে যান।

    অভিষেক বলেন, ‘সুপ্রিয় ও সোহম নিজেদের বি-টেক ও এম-টেক–এর ছাত্র বলে দাবি করেছেন। এখনও তার প্রমাণ পাইনি। ধৃতদের থেকে এক লক্ষেরও বেশি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি আগ্নেয়াস্ত্র, দু’টি ম্যাগজ়িন, চার রাউন্ড কার্তুজ ও একটি ছুরিও পাওয়া গিয়েছে। যে গাড়িতে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছিল, সেটিও বাজেয়াপ্ত হয়েছে।’

  • Link to this news (এই সময়)