রাজ্য সরকারের প্রকল্পে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হাজার হাজার গ্রামীণ মহিলা স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দেওয়া হচ্ছে মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ।
ইতিমধ্যেই জেলার কমবেশি ৬-৭ হাজার গ্রামীণ মহিলা এই প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বনির্ভর হয়েছেন। মাশরুম চাষ করে টাকা রোজগার করছেন তাঁরা। সাধারণত হোটেল, রেস্তোরাঁয় নিরামিষ খাদ্যের তালিকায় মাশরুম অন্যতম উপকরণ। মাশরুম দিয়ে নানা ধরনের সুস্বাদু ও পুষ্টিকর পদ রান্না হয়। সারা রাজ্যেই মাশরুমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যের বাইরেও রপ্তানি হয় মাশরুম।
গ্রাম বাংলার মহিলারা বাড়িতেই খড় ও মাশরুমের বীজ দিয়ে অল্প খরচেই এই চাষ করছেন। অক্টোবর মাস থেকে শুরু হয় মাশরুমের বেড তৈরির কাজ। প্রথমে খড় কেটে চুন জলে সারা রাত ডুবিয়ে রাখা হয়। পরের দিন খড় তুলে রোদে শুকিয়ে তা বেডে লাগানো হয়। তারপর সেখানে বীজ দিয়ে তৈরি করা হয় মাশরুম। একটি বেড তৈরির জন্য খরচ হয় ৩৫-৪০ টাকা। একটি বেডে মাশরুম উৎপাদন হয় এক থেকে দেড় কেজি। একটি বেডে আয় হয় ৩০০ টাকা পর্যন্ত।
ইতিমধ্যে তমলুক, শহীদ মাতঙ্গিনী, রামনগর, মহিষাদল-সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একাধিক ব্লকে মাশরুম তৈরির প্রশিক্ষণে বিশেষ সাড়া মিলেছে। এই মাশরুম চাষ থেকে একজন মহিলা হাজার হাজার টাকা রোজগার করেন।
চার বছর আগে মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন রিঙ্কু জানা। তিনি বলেন, ‘আমি ৪ বছর আগে এই প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। গত বছর আমি ১০০টি বেড তৈরি করেছিলাম। এ বছর আমার ১৫০টি বেড তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। নিজের স্বনির্ভর হতে পেরে ভালই লাগছে।’