• বেআইনি নির্মাণ ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ, বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমোদনের ক্ষেত্রে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি
    এই সময় | ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • গত ২ সপ্তাহে কলকাতা এবং বিধাননগর পুরসভার অন্তর্গত একাধিক বাড়ি হেলে পড়ার অভিযোগ সামনে এসেছিল। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠেছিল, জলাশয় বুজিয়ে উপযুক্ত অনুমতি না নিয়েই তৈরি হয়েছিল বহুতলগুলি। ঘটনায় শহরজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। প্রশ্ন উঠছিল প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। এই পরিস্থিতিতে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। বেআইনি নির্মাণ ঠেকানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। নির্দেশিকায় মাটি পরীক্ষা বা সয়েল টেস্টিংয়ের উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত পুরসভাগুলিকে এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

    কী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে?

    হেলে পড়া বহুতলগুলির বিষয়ে অভিযোগ উঠেছিল, তা জলাশয় বুজিয়ে তৈরি করা হয়েছে। যাতে নতুন করে জলাশয় বুজিয়ে বেআইনিভাবে কোনও আবাসন তৈরি না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। যে কোনও জলাশয়ের ১৫ মিটার দূরত্বের মধ্যে কোনও বহুতল তৈরি হলে মাটি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক।

    কোনও হেলে পড়া বাড়ি লিফ্টিংয়ের ক্ষেত্রে একাধিক নিয়ম মানতে হবে। কোনও বিল্ডিংয়ের স্ট্রাকচারাল স্টেবিলিটি সার্টিফিকেট খতিয়ে দেখার পরেই অকুপেন্সি সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, এই সার্টিফিকেট না থাকলে বহুতলে পানীয় জল, নিকাশি ব্যবস্থা পাওয়া সম্ভব নয়।

    কোথাও যাতে বেআইনি নির্মাণ না হয় সেই জন্য কড়া নজরদারি চালাতে হবে পুর কর্তৃপক্ষকে, নির্দেশ দেওয়া হয় এমনটাই। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কলকাতা এবং বিধাননগরে বেশ কিছু হেলে পড়া বিল্ডিং নিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল প্রশাসনকে। সার্বিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে এই নির্দেশিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    এ দিকে বেআইনি নির্মাণ আটকাতে উদ্বাস্তু কলোনি এবং ঠিকা জমিতে বিল্ডিং ফি মকুব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। একই সঙ্গে বাড়ি তৈরির সময়ে চারিদিকে যে জায়গা (এফআর)) ছাড়তে হয়, সেখানেও অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হবে। আর এই জন্য কলকাতা পুর আইন সংশোধনের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠাতে চলেছে কলকাতা পুরসভা, জানা গিয়েছে এমনটাই। এই বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)