• দক্ষিণদাঁড়িতে পাশের বাড়ির দিকে হেলে পড়েছে বহুতল, তালিকা তো বেড়েই চলেছে...
    এই সময় | ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • বাঘাযতীন থেকে শুরু। শহর ও শহর ছাড়িয়ে এখন শহরতলিতেও হেলে পড়ছে বহুতল ফ্ল্যাট বাড়ি। এ বার দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে খোঁজ মিলল হেলে পড়া এক আবাসনের। দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে লেকটাউন দক্ষিণদাঁড়ি ২৬ নম্বর রেলগেটের পাশে এই বহুতল।

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পাশাপাশি দু'টি বহুতল। একটি হেলে অন্যটির একেবারে ঘাড়ের উপর উঠে গিয়েছে। যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা স্থানীয়দের। আবাসনের বাসিন্দা রাজেশ প্রসাদ বলেন, ‘আগে তো ঠিকই ছিল। আমরা তো ভালো দেখেই নিয়েছিলাম। পরে দেখি এই অবস্থা।’ সদ্য এই আবাসনে এসেছেন দীপালি পাল। তিনি জানান, পাশের বহুতলের দিকে ফ্ল্যাট হেলে রয়েছে কি না, তা তিনি জানেন না।

    ক্রমেই বাড়ছে হেলে পড়া বাড়ির সংখ্যা। বাঘাযতীন দিয়ে শুরু হয়েছিল। একে একে ট্যাংরা, তপসিয়া, মুকুন্দপুর, এন্টালি, বাগুইআটি, দক্ষিণদাঁড়ি— তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের সমস্ত পুরএলাকায় বাড়ির প্ল্যান অনুমোদনের ক্ষেত্রে মাটি পরীক্ষার রিপোর্ট, স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারের ছাড়পত্রকে অত্যাবশ্যক করা হচ্ছে। পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর এ সংক্রান্ত নির্দেশিকাও জারি করেছে।

    যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গায় জলা বুজিয়ে এই সমস্ত বহুতল বাড়ি নির্মাণ হওয়ায় বিপদ বাড়ছে। বেআইনি নির্মাণেই বাড়ছে ঝুঁকি। তবে দক্ষিণদাঁড়ির এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এখানে জলাজমি ছিল না। এখানে বাড়িই ছিল। তা ভেঙে বহুতল করা হয়েছে। বহুতলের এক বাসিন্দারও দাবি, সব নিয়ম মেনেই নির্মাণ হয়েছে। তার পর এই ঘটনা উদ্বেগের।

  • Link to this news (এই সময়)