• কমিশনারেট এলাকায় দুর্ঘটনায় মৃত্যু কমেছে ১০ শতাংশ, প্রকাশিত হল ট্রাফিক ইয়ার বুক
    আজকাল | ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • মিল্টন সেন, হুগলি:‌ সচেতনতা বেড়েছে। সঙ্গে বেড়েছে নজরদারি। পাশাপাশি কঠিন হয়েছে আইন। এক বছরে মামলা দায়ের হয়েছে ৬৪ হাজার ২৩৩টি। জরিমানা আদায় হয়েছে ৭৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ট্রাফিক ইয়ার বুক প্রকাশ করে এই তথ্য জানানো হয়েছে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে। সোমবার সূচনা হয় চন্দননগর পুলিশের পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ কর্মসূচি। চুঁচুড়া ঘড়ির মোড়ে আয়োজিত পথ নিরাপত্তা সপ্তাহের সূচনা করেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিসিপি হেড কোয়ার্টার ঈশানী পাল, ডিসিপি শ্রীরামপুর অর্ণব বিশ্বাস, ডিসিপি চন্দননগর অলকানন্দা ভাওয়াল, এডিএসপি ট্রাফিক দেবাশিস সরকার, এসিপি ডিডি সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়, টিআই মান্ধাতা সাউ ও পুলিশ কর্মীরা। আয়োজিত অনুষ্ঠানে চন্দননগর পুলিশের তরফে ট্রাফিক ইয়ার বুক প্রকাশ করা হয়। দুর্ঘটনা কমাতে কীভাবে পুলিশ দিন রাত কাজ করেছে, উপস্থিত সকলের সামনে সেই তথ্য তুলে ধরা হয়। কীভাবে চন্দননগর পুলিশ দুর্ঘটনা কমাতে সক্ষম হয়েছে তুলে ধরা হয় সেই পরিসংখ্যান। জানানো হয়, ট্রাফিক দপ্তরের তৎপরতায় মোটর ভেহিকেল দপ্তরে গত এক বছরে প্রায় ৬৫ হাজার মামলা দায়ের হয়েছে। প্রায় আট কোটি টাকা জরিমানা আদায় করেছে। 

    চন্দননগর পুলিশের ১৮৭.৫৯ স্কোয়ার কিমি এলাকা। সেখানে রয়েছে রাজ্য সড়ক, জিটি রোড, দিল্লি রোড ও জাতীয় সড়ক। আগে প্রতিবছর দৈনন্দিন দুর্ঘটনা লেগে থাকত। পথ নিরাপত্তায় জোর দেওয়ার পর উল্লেখযোগ্যভাবে সুফল মিলেছে। দুর্ঘটনা কমেছে। পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, দিল্লি রোডে আলো লাগানো হয়েছে। ট্রাফিক পরিকাঠামো উন্নত করা হয়েছে। সর্বোপরি পুলিশ আধিকারিক ট্রাফিক কর্মীদের পরিশ্রমে দুর্ঘটনায় মৃত্যু কমানো সম্ভব হয়েছে। পুলিশ কমিশনার বলেছেন, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় কমবয়সিরা হেলমেট না পরে বাইক চালায়। ফলে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে থাকে। মৃত্যু খুবই দুঃখজনক, অপ্রত্যাশিত। তাই তিনি বলেছেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলেও হেলমেট পড়েই বাইক চালানো উচিত। দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচতে এটা সকলকেই মানতে হবে। পথ নিরাপত্তা সচেতনতায় আয়োজিত র‌্যালিতে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করে।
  • Link to this news (আজকাল)