এক বহুতলের কারণে অন্যের পাঁচিলে চিড়, মেঝেতে ফাটল, কী ঘটল হুগলিতে? জানলে অবাক হবেন
আজকাল | ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
মিল্টন সেন,হুগলি: আবাসনের বয়স মাত্র বছর দুই হবে। শ্রীরামপুরের কুমিরজলা রোডে তৈরি হওয়া আবাসনে বহু মানুষ বসবাস করছেন। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, বহুতলের একদিক বসে গিয়েছে ইতিমধ্যে। ফলে সংলগ্ন এলাকার একাধিক বাড়িতে নানা রকমের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অভিযোগ তেমনটাই।
অথচ, বহুতলে কোনও সমস্যা নেই। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, তাঁরা অভিযোগ করার পরেও গুরুত্ব দিতে নারাজ প্রমোটার। জানা গিয়েছে, বছর দুয়েক আগে শ্রীরামপুর পুরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত রেল স্টেশন সংলগ্ন কুমিরজলা রোড এলাকায় একটি বহুতল তৈরি হয়। সেখানে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বসবাস। সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে সেই বহুতলের একদিক নাকি বসতে শুরু করেছে। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, বহুতল তৈরির পর দেখা যাচ্ছে তাদের অনেকেরই বাড়িতে ফাটল ধরেছে। বাড়ির পাঁচিলে চিড় ধরেছে।
সন্দেহ, বহুতল ওভার ওয়েট হয়ে যাওয়ার ফলে জমি বসতে শুরু করেছে। কলকাতার বাঘাযতীনের মতো হেলে পড়লে কী হবে? প্রশ্ন ঘুরছে তাঁদের মনে। সেই চিন্তায় বর্তমানে ঘুম ছুটেছে তাঁদের।
এই প্রসঙ্গে শ্রীরামপুর পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শুভ প্রসাদ ভট্টাচার্য।জানিয়েছেন, গত ২০২০ সালে ওই আবাসনের প্ল্যান পাস করিয়েছিলেন প্রোমোটার তুষার ঘোষ। তারপর তিনি বহুতল তৈরি করেছেন। সম্প্রতি পুরসভা বহুতল বসে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পারে। তার পরই প্রোমোটার কে পুরসভায় ডেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রোমোটার তখন নির্দেশ অনুযায়ী সব রকম ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে পুরসভাকে আশ্বস্ত করে। প্রতিবেশীদের অভিযোগের নিরিখে বহুতল নির্মাণকারী প্রোমোটার তুষার ঘোষ ঘোষ বলেছেন, ‘মাটি কিছুটা খারাপ রয়েছে। তাই হয়তো মেঝেতে একটু ফাটল এসেছে। আবাসন হেলে যায়নি।শ্রী রামপুর পুরসভা থেকেও আবাসন পরিদর্শন করেছে। তাতে খারাপ কিছু ধরা পড়েনি।‘