‘নতুন কিছু নয়, গুলেন বেরি ছিলই’, কত বয়সের শিশুদের থাকতে হবে সতর্ক? জানাল স্বাস্থ্যভবন...
আজকাল | ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: এইচএমপিভির পর হঠাৎই দেশে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে গুলেন বেরি সিনড্রোম নিয়ে। এই স্নায়ু রোগ মহারাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাপক হারে। এই রোগ সম্পর্কে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে কলকাতাতেও। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে বিবৃতি জারি করলেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। তিনি জানিয়েছেন, গুলেন বেরি সিনড্রোম নতুন কোনও ধরনের বা বিরল কোনও রোগ নয়। এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা দেশে বা রাজ্যে নতুন কিছু নয়। মূলত অ্যাকিউট ফ্ল্যাসিড প্যারালাইসিসের কারণে এই রোগ হয়ে থাকে। আক্রান্ত হন সাধারণত ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা।
যেহেতু, সময়মত চিকিৎসা না হলে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে এই রোগে সে কারণে সর্বদা নজর রাখছে পোলিও বিভাগের বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্যসচিব আরও জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি দপ্তর এনপিএসপির তরফে জানানো হয়েছে, ডিসেম্বর মাস শেষের পর রাজ্যে এই রোগে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি। সোমবার জানা যায়, কলকাতায় দুই শিশু এই রোগে আক্রান্ত। দুই শিশুর একজনের বয়স আট বছর এবং অপরজনের বয়স ন’ বছর। দু’ জনেই ভর্তি রয়েছে পার্ক সার্কাস ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে। সূত্রের খবর, দুজনেই ভেন্টিলেশনে চিকিৎসাধীন। একজন প্রায় দু’ সপ্তাহ ধরে এবং একজন একমাসের বেশি সময় ধরে ভর্তি হাসপাতালে।
জানা গিয়েছে, ওই দুই শিশুর উপসর্গ হিসেবে রয়েছে জ্বর-সর্দি। চোখের নিচের চামড়াও ক্ষতিগ্রস্ত। পুনেতে ইতিমধ্যে গুলেন বেরিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০০। মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে চিকিৎসকরা আগেই জানিয়েছেন, এই জটিল স্নায়ুরোগে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্নায়ুকে আক্রমণ করে৷ সাধারণ ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাসঘটিত সংক্রমণে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে৷ এই বিরল স্নায়ুরোগে আক্রান্ত হলে, স্নায়ুগুলিও ঠিকমতো কাজ করে না৷ হাত, পা অসাড় হয়ে যায়৷ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কাও থাকে৷ শ্বাসকষ্টের সমস্যা, খাবার খেতেও সমস্যা দেখা দেয়৷ বর্তমানে সকলকে বাইরের খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি জল ভাল করে ফুটিয়ে তারপর খেতে বলেছেন।