জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সিউড়িতে তুলকালাম। জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে অস্ত্র হাতে দাপাদাপি। গ্রামবাসীদের হাতে পাকড়াও ২ যুবক। পুলিসের নিষ্কৃয়তার অভিযোগে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন গ্রামবাসী। সিউড়ি থানার যিনি আইসি তাঁর কলার ধরে টানাটানি করা হয়। লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করল পুলিস। এনিয়ে এবার সরব হলেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। পুলিসের উপরে হামলায় ক্ষোভে ফেটে পড়লেন অনুব্রত।
ওই ঘটনায় মোট ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত ২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়অস্ত্র। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, একটা পরিবার গোটা গ্রামে অশান্তি করছে। ওরা দিনেদুপুরে অস্ত্র নিয়ে ঢুকে যাচ্ছে। আমরা কোথায় যাব। দিনের বেলায় যদি নিরাপত্তা না থাকে তাহলে রাতে কী হবে? ওদের মধ্যে রয়েছে মারু আনসারি, পুটু আনসারি, বাবু আনসারি। ওদের ইন্ধন দিচ্ছে ইকবাল, জাহিদ, কুতুবউদ্দিন।
এনিয়ে বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, এখানে ছেড়ে দেওয়ার কোনও ব্যাপার নই। পুলিস কাউকে ছাড়বে না। কোনও দল নয়, কোনও রং নয়। পুলিস নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে। সব অস্ত্র উদ্ধার করবে। সবাইকে অ্যারেস্ট করবে। পুলিস পুলিসের কাজ করবে। পুলিসকে ফুল সাপোর্ট। যারা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে দাপাদাপি করছে তারা কারা জানি না। ওরা যে কোনও দলেরই লোক হোক, তারা যদি তৃণমূলের লোকও হয় তাদের যেন পুলিস না ছাড়ে। পুলিস কাউকে ছাড়বে না। তা সে যে লাটসাহেবই হোক না কেন। পুলিস ব্যবস্থা নেবে। পুলিস মেরে হাত ভেঙে দেবে, আর কী করবে। পুলিস কেন ছাড়বে? তার জন্য আইন আছে। ছাড়াত উচিত নয়।
যাদের আটক করা হয়েছে বা গ্রেফতার করা হয়েছে তার এলাকারই বাসিন্দা। এক্ষেত্রে দুটি বিষয় সামনে আসছে। একটি হল পুলিস প্রশাসনের নিষ্কৃয়তা এবং অন্যদিকে আইসির কলার ধরা থেকে স্পষ্ট এলাকায় আইন শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। এই অবস্থায় পুলিস কীভাবে বিষয়টি সামাল দেবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। একটি জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে এই পরিস্থিতি। এক্ষেত্রে বিবদমান দুই গোষ্ঠীর লোকজনকেই গ্রেফতার করার চেষ্টা করছে পুলিস।