কেউ বিটেক, কেউ এমকম! শিয়ালদহ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ধৃত যোগীরাজ্যের ৫ যুবকের মোটিভ ঘিরে ধন্দ
প্রতিদিন | ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
অর্ণব আইচ: শিয়ালদহ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধৃতরা সকলেই যোগীরাজ্যের বাসিন্দা। সকলেই উচ্চশিক্ষিত। কেউ বিটেক পাশ করেছে তো কেউ পাশ করেছে এমকম। কেউ আবার বিএসসি পাশ করেছে তো আবার আইটিআই পাশ করে বসে আছে কেউ। তারাই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে অপরাধের উদ্দেশে শিয়ালদহে জড়ো হয়েছিল। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনই তথ্য দিলেন কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি (ক্রাইম) রূপেশ কুমার।
সোমবার রাতে শিয়ালদহ চত্বরে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ ফর উইমেন্সের কাছে বৈঠকখানা রোডের একটি বাড়িতে অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ। সেখানেই অস্ত্র ভাণ্ডারের হদিশ মেলে। একটি সেভেন এমএম সেমি অটোমেটিক এবং একটি সিঙ্গল শটার আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে এসটিএফ। বাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে ১৫ রাউন্ট তাজা কার্তুজও মেলে। গ্রেপ্তার করা হয় ৫ জনকে।
ধৃতরা হল শিবশঙ্কর যাদব, রাহুল যাদব, আদিত্য মৌর্য, দেবাঙ্ক গুপ্তা এবং রুকেশ সাহানি। সকলেরই বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। প্রত্যেকেই উচ্চশিক্ষিত। এরপরই প্রশ্ন উঠছে, কেন পাঁচ শিক্ষিত যুবক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে জড়়ো হয়েছিল বাংলায়? তবে কি যোগীরাজ্যে চাকরি না পেয়েই অপরাধের পথ বেছে নিয়েছিল তারা? অস্ত্রপাচারের মতো অপরাধে জড়িয়েছিল? কী মোডাস অপারেন্ডি নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এ রাজ্যে ঢুকেছিল যোগীরাজ্যের পাঁচ যুবক? কলকাতা কাদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল? মঙ্গলবার ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন কলকাতা পুলিশের এসটিএফের অফিসাররা।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে জয়েন্ট সিপি জানিয়েছেন, দুদিন আগে ট্রেনে চেপে কলকাতা এসেছিল রূকেশরা। ধৃতদের মধ্যে একজনের কাছ থেকে ট্রেনের টিকিটও উদ্ধার হয়েছে। কলকাতার একটি লজেই আশ্রয় নিয়েছিল তারা। তবে তাদের কাছ থেকে কোনও পরিচয়পত্র বা বৈধ নথি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সেগুলির হদিশ পেতেই চলছে তদন্ত। ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে ইমেল করে গ্রেপ্তারির বিষয়টি জানানো হয়েছে।