‘যোগ্য-অযোগ্য…,’ ২৬ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে বিকাশের উলটো সুরে SFI
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
এসএসসিতে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল সংক্রান্ত বিষয়ে এবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল এসএফআই।
সাংবাদিক বৈঠকে এসএফআই নেতৃত্বের দাবি, ২৬ হাজার কর্মপ্রার্থী তাদের গোটা প্যানেলটা বাতিল হওয়ার একটা পরিবেশ, একটা আশঙ্কার জায়গা তৈরি হয়েছে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমরা বলে আসছি, যোগ্য়-অযোগ্য আলাদা করতে হবে। কারা যোগ্য আর কারা অযোগ্য সেটা আলাদা করতে হবে। আর এই পার্থক্য করার দায়টা রাজ্য সরকারের। এটা রাজ্য সরকারকেই আলাদা করতে হবে। সরকারটা অযোগ্য, স্বচ্ছ পদ্ধতিতে নিয়োগ করতে পারছে না বলে, সরকারটা দুর্নীতিগ্রস্ত বলে যোগ্য প্রার্থীরা তাদের চাকরিতে বহাল থাকতে পারবে না এটা হতে পারে না। সিবিআইয়ের তদন্ত তো হল যাতে এই আলাদা করা যায়। সাড় ৬ হাজার স্কুল একজন শিক্ষক হিসাবে চলছে। শিক্ষক নিয়োগ করা দরকার। যে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে এই ধরনের পরিবেশ তৈরি করা হয় যে যারা মেধার ভিত্তিতে চাকরি পেল তাদের চাকরিও কেড়ে নেওয়া হল, এটা হতে পারে না। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার দিকে এগোতে পারব না। আমাদের পরিষ্কার অবস্থান যোগ্য-অযোগ্য় আলাদা করতে হবে। যদি ফের পরীক্ষা নিতে হয় তবে অযোগ্য হিসাবে চিহ্নিত করা হবে তাদের ফের পরীক্ষা নিতে হবে। যোগ্যরা কেন ফের পরীক্ষা দেবে? এনিয়ে জলঘোলা না করে বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্য়মে ও তদন্তের মাধ্য়মে যাতে সিদ্ধান্তে পৌঁছন যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু রাখা ও চালু করার প্রক্রিয়া রাখতে হবে।
এবার প্রশ্ন আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশ ভট্টাচার্য তো সুপ্রিম কোর্টে প্রস্তাব রেখেছেন পুরো প্যানেল বাতিল করতে হবে। ফের পরীক্ষা দিতে হবে।
সেই প্রশ্নের উত্তরে এসএফআই নেতৃত্ব বলেন, স্বাভাবিকভাবে বিকাশবাবু একজন স্বনামধন্য় আইনজীবী। আইনজীবীর জায়গা থেকে তিনি বলেছেন। তিনি বলতে পারবেন আইনের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ওই কথাগুলো বলেছেন। যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করার দায় বিচার ব্যবস্থার নয়, যোগ্য -অযোগ্য আলাদা করার দায় রাজ্য সরকারের। তদন্ত প্রক্রিয়ার মাধ্য়মে বেশ খানিকটা অগ্রসর হয়েছিল। সেই প্রক্রিয়া কেন থেমে গেল? সরকার অযোগ্য বলে যোগ্যরা চাকরি পাবে না? দু বছর ধরে যে স্কুলগুলিকে শিক্ষক নিয়োগ দরকার সেগুলো শিক্ষক থাকবে না? যোগ্য -অযোগ্য আলাদা করতে হবে।