• ৭ দিন…! সন্দীপের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর ডেডলাইন বেঁধে দিল হাইকোর্ট, নির্দেশ CBI-কে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • তদন্ত প্রায় শেষের মুখে। দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় এমনই জানাল সিবিআই। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলির দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার হাইকোর্টে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মুখবন্ধ খামে একটি রিপোর্টও জমা দিয়েছে। সেইসঙ্গে দ্রুত তদন্তের জাল গুটিয়ে ফেলার আশ্বাস দিয়েছে সিবিআই। তারইমধ্যে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের এক সপ্তাহের মধ্যে দুর্নীতি মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। অর্থাৎ বেঁধে দেওয়া হয়েছে ‘ডেডলাইন’।

    আর আরজি করে সেই আর্থিক দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরে। গত ২৩ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপর একটানা জেরার পরে ২ সেপ্টেম্বর আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়।

    নিম্ন আদালতে ইতিমধ্যে সিবিআই দাবি করেছে, হাসপাতালের কাজের বরাত দেওয়ার সময় 'সিস্টেমেটিক জালিয়াতি' করতেন সন্দীপ। যে ভেন্ডররা তাঁর ঘনিষ্ঠ ছিলেন, তাঁদের ভুয়ো নথি তৈরি করতে দিতেন। এমনকী তাঁর মাসলম্যান হিসেবে কাজ করার জন্য একজন হাউস স্টাফকে সন্দীপ 'প্রশিক্ষণ' দিয়েছিলেন, যাতে ভয়ের সংস্কৃতি এবং ঘুষের সংস্কৃতি বজায় রাখা যায়। 


    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, বিপ্লব সিনহা এবং সুমন হাজরা যাতে সব কাজের বরাত পান, তা নিশ্চিত করতেন সন্দীপ। তাঁরা একগুচ্ছ সংস্থা খুলেছিলেন। কোনও টেন্ডার বের হলেই ওই সংস্থাগুলির মাধ্যমে ভুয়ো দর হাঁকতেন। তাঁরা নিশ্চিত করতেন যে শুধুমাত্র তাঁদের বানানো সেই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবে। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন দর হাঁকা সংস্থাও তাঁদের তৈরি করা কোম্পানির শৃঙ্খলের মধ্যে থাকত। 


    শুধু তাই নয়, অভিযোগ উঠেছে যে অযোগ্য প্রার্থীদের হাউস স্টাফ হিসেবে নিয়োগ করার চক্র চালাতেন সন্দীপ। অযোগ্য প্রার্থীদের থেকে টাকা নিতেন সন্দীপের বেছে নেওয়া এক ব্যক্তি। মাসে-মাসে তিনি টাকাও নিতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সিবিআই জানিয়েছেন, যাঁরা সন্দীপদের চক্রের পাশে দাঁড়াতে চাইতেন না, তাঁদের হুমকিও দেওয়া হত।


    উল্লেখ্য, আরজি কর আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ২৯ নভেম্বরই চার্জশিট দাখিল করেছে সিবিআই। তার কয়েকদিন পরে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ সন্দীপকে যে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাতে তিনি জামিন পেয়ে যান। তাতে জামিন পেয়ে গেলেও আর্থিক দুর্নীতি মামলায় এখনও জেলে আছেন। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছে সিবিআই।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)