• সিউড়িতে আইসির কলার ধরে হেনস্থার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২০
    এই সময় | ২৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • সিউড়ির মিনিস্টিল এলাকায় অশান্তি ও পুলিশের উর্দিতে হাত দেওয়ার ঘটনায় বাবু আনসারি-সহ ২০ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপ সাংবাদিক বৈঠক করে এই গ্রেপ্তারির কথা জানান। এখনও পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ জন মহিলা, ৭ জন পুরুষ। পুলিশ সুপার জানান, অনেক অভিযুক্ত গ্রামছাড়া। পুলিশের গায়ে হাত তোলার ঘটনায় সকল অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করা হবে।

    সিউড়ি থানার মল্লিকপুর গ্রামপঞ্চায়েতের মিনিস্টিল। সেখানেই বাবু আনসাারি ও ইকবাল আনসারি গোষ্ঠীর মধ্যে এলাকা দখলের লড়াইয়ের অভিযোগ ওঠে। যা মঙ্গলবার চরমে ওঠে। গ্রামে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাপাদাপি চলে। সেই ঘটনায় গ্রামে পুলিশ গেলে, তাদেরও হেনস্থা করা হয়। বাবু আনসারির এক অনুগামীর বিরুদ্ধে আইসির কলার ধরে টানার অভিযোগ ওঠে।

    পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, ‘অভিযান চলবে, সকলে গ্রেপ্তারও হবে। বাবু আনসারি গ্রেপ্তার হয়েছে। আইসির ইউনিফর্ম যে ধরেছে সে-ও গ্রেপ্তার হয়েছে। গত বছরও এই এলাকায় ঝামেলা হয়েছিল। গ্রেপ্তারও হয়েছিল। আইসির ইউনিফর্ম ধরা ওই যুবকও গ্রেপ্তার হয়। এখন জামিনে বাইরে। সকলকে আমরা গ্রেপ্তার করব। পুলিশের পক্ষ থেকে সুয়োমোটো হচ্ছে। আমরা ঘটনাস্থল থেকে যাদের পেয়েছি, ধরেছি। এ বার পুলিশ হেফাজতে নেবো। কী কারণে এই অশান্তি, অস্ত্রই বা কোথা থেকে এলো, হেফাজতে নিয়ে জানা যাবে।’ এসপি জানান, এ দিন ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৬টি কার্তুজ পাওয়া গিয়েছে।

    বাবু আনসারি এলাকায় যুব তৃণমূল নেতা হিসাবে পরিচিত। অন্যদিকে ইকবালও দাবি করেন, তিনি তৃণমূল কর্মী। বিরোধীদের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এই ঘটনা। যদিও সিউড়ি-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি রূপু লালার দাবি, এখানে গোষ্ঠীকোন্দলের কোনও প্রশ্নই নেই। জমি নিয়ে নিজেদের লড়াই। এখানে রাজনীতির কিছুই নেই।

    বাবুর অনুগামীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে হেনস্থার অভিযোগ প্রসঙ্গে ব্লক তৃণমূল সভাপতির বক্তব্য, ‘বাবুর লোকজন পুলিশকে কিছু করেনি। ওকে ধরে নিয়ে যাচ্ছিল, মানুষ প্রতিবাদ করেছে। বন্দুক, গুলি যারা বের করল, তারা গ্রেপ্তার হলো না। অন্যদের ধরে নিয়ে যাচ্ছিল, তাই মানুষ প্রতিবাদ করেছে। তবে আমরা কখনওই পুলিশকে অসম্মান করার পক্ষে নই।’

  • Link to this news (এই সময়)