জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নিশানায় সেই আরজি করে নির্যাতিতার পরিবার! 'তাহলে কি আপনারা ক্ষতিপূরণ চান? আপনারা কী দাঙ্গা চান'? প্রশ্ন কামারহাটি তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের। পরিষদীয় মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ের মতে, 'নিজেদের মত দিচ্ছেন বলে মনে হয় না। আমরা ধারনা, এখনও বাম বা সিপিএমের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছেন। সিপিএম রাজনৈতিক অভিসন্ধি, উদ্দেশ্য পূরণ করতে বাবা-মাকে ব্যবহার করছে'।
মদন বলেন, 'ওরা হঠাত্.. প্রথমে কিছু চাই না, কিছু বলব না, এরকম না বলে, এ যে রাতারাতি প্রথমদিনে বক্তব্য পালটে যাচ্ছে। তাঁদের মুখে কথা, তোতাকাহিনীর মতো সিপিএম আর বিজেপি আর সিপিএম কথাগুলি যেন ওদের মুখে চেপে বসছে। তাহলে কি আপনারা ক্ষতিপূরণ চান? যদি ক্ষতিপূরণ চান, সেটা বলুন। আপনারা যদি পরিষ্কার করে না বলেন কী চান? তাহলে তো মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। আপনারা কি দাঙ্গা চান? এমনিতেও তো কয়েক কোটি টাকা ডাক্তারদের আন্দোলনে উঠে গিয়েছে। আপনারা চাইলে এই মুহূর্তে হাজার হাজার কোটি টাকা উঠে যাবে। সেটা যদি মনে করে যথেষ্ট, ওই টাকা দিয়ে মেয়ের নামে ভালো কাজ করবেন, করবেন'।
চুপ করে থাকেননি নির্যাতিতা পরিবারও। তাঁদের পাল্টা বক্তব্য, 'মদন মিত্র তৃণমূলের একজন নাম করা নেতা। তিনি যে টাকার কথা বলছেন, তাঁর দ্বিগুণ টাকা আমরা দেব, শুধু আমার মেয়ে ফিরিয়ে দিক'। সঙ্গে শোভনদেবকে বার্তা, 'আমরা কোনও রাজনীতি চাই না! এক বর্ষীয়ান নেতা হিসেবে আমাদের গাইড লাইন দিক। আমাদের বাড়িতে এসে দেখে যান, আমরা কেমন ভাবে আছি'। বলেন, 'শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় নিজে আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন।উনি ভালো করে জানবেন আমরা কি ধরনের লোক'।
ঘটনাটি ঠিক কী? আরজি কাণ্ডে সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেছে শিয়ালদহ আদালত। তাঁকে আমৃত্য়ু কারাবাসের যখন সাজা শুনিয়েছেন বিচারক, তখন ফাঁসির দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্য সরকার এবং সিবিআই, তখন দোষীর সর্বোচ্চ সাজায় আপত্তি তুলেছে খোদ নির্যাতিতার পরিবারই। হাইকোর্টে তাঁরা জানিয়েছেন, 'আমরা ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট চাইছি না'।