স্যালাইনকাণ্ডে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে বড়সড় ধাক্কা খেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এই ঘটনায় রাজ্যের দায়ের করা অভিযোগে নাম থাকা চিকিৎসক পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায়কে রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁকে কোনও অবস্থাতেই গ্রেফতার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। তবে এই ঘটনায় সিআইডি তদন্ত বন্ধের আবেদন সিঙ্গল বেঞ্চের শোনার এক্তিয়ার রয়েছে কি না সেব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি।
মেদিনীপুর মেডিক্যালে সংক্রমিত স্যালাইন ব্যবহারের ফলে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় ১৩ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করেছে রাজ্য সরকার। তার আগে তাদের সাসপেন্ড করেছে স্বাস্থ্য ভবন। সেই তালিকায় নাম রয়েছে হাসপাতালের সিনিয়র রেসিডেন্স অ্যানেস্থেসিস্ট পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। সিআইডি তদন্ত বন্ধের দাবিতে ও আদালতের রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।
মঙ্গলবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলার শুনানিতে চিকিৎসক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যুর কারণ হিসাবে হাসপাতালেরই তদন্ত রিপোর্টে সংক্রমিত স্যালাইনকে দায়ী করা হয়েছে। কিন্তু স্যালাইন নিয়ে তদন্ত না করে চিকিৎসকদের নিশানা করে তাদের ঘাড়ে দায় চাপানোর চেষ্টা চলছে। একথা শুনে চিকিৎসক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আইনি রক্ষাকবচ দেন বিচারপতি। স্পষ্ট জানিয়ে দেন এই মামলায় পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা যাবে না।
তবে সিআইডি তদন্ত খারিজের আবেদনের শুনানি সিঙ্গল বেঞ্চে সম্ভব কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি ঘোষ। তিনি বলেন, এই সংক্রান্ত ২টি মামলা প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন। ফলে এই আবেদনের শুনানি করতে গেলে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের অনুমতি প্রয়োজন।