বিকেল হলে রেললাইনে রিলস যুবক-যুবতীদের, পুরাতন মালদহে দুর্ঘটনার আশঙ্কা
বর্তমান | ২৯ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: পুরাতন মালদহের মঙ্গলবাড়িতে বিকেল হলেই স্থানীয় রেললাইনের উপর সোশ্যাল মিডিয়ার রিলস তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন যুবক-যুবতীরা। শুধু তাঁরা নয়, গৃহবধূদের একাংশও সেখানে শামিল হচ্ছেন। পুরাতন মালদহ শহরের রেল কলোনি, সাদা ব্রিজ, বেহুলা কলোনি, সদরঘাট সহ বিভিন্ন জায়গায় এমন প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে তাঁরা সেখানে মোবাইল নিয়ে বসে থাকছেন। কিছু বাড়তি ভিউজের আশায় তাঁরা বিভিন্ন রকমের অভিনয় ও ভাবভঙ্গি করে রিলস ভিডিও বানানোর চেষ্টা করছেন। এই রেল লাইনটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে মালদহ কোর্ট এবং অন্যদিকে পুরাতন মালদহ স্টেশন রয়েছে। ওই দু’টি স্টেশন থেকে বিভিন্ন রুটে নির্দিষ্ট রেললাইন দিয়ে একাধিক ট্রেন চলাচল করে। রিলস বানানোর নেশায় ওই স্থানে ট্রেন চলে এলে তাঁদের প্রাণ সংশয় হতে পারে বলে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। স্থানীয়রা নির্দিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সচেতনতার দাবি জানিয়েছেন। পুরাতন মালদহ পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অসীম ঘোষ বলেন, আমাদের ওয়ার্ডের পাশে রেললাইন রয়েছে। সেখানে অসংখ্য বাড়ি রয়েছে। সবাই রেললাইনের উপরে ওঠেন না। কিছু মানুষ কে কখন কি করছে এটা দেখা মুশকিল। তবুও আমরা সবাইকে বুঝিয়ে বলব যেন সতর্ক থাকেন। তবে মানুষকে নিজেদের আগে সতর্ক হতে হবে। মঙ্গলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের নলডুবি এলাকার বাসিন্দারাও রেললাইনের ধারে বসবাস করেন। সেখানকার স্থানীয় নির্বাচিত সদস্য রিপন বর্মন বলেন, ওটা রেলের জায়গা। বিষয়গুলি রেল কর্তৃপক্ষ দেখবে। আমাদের নজরে এলে গ্রামের মানুষকে সতর্ক করে দিই। মঙ্গলবার রেল কলোনিতে গিয়ে দেখা যায় এক যুবক ফোন নিয়ে সেখানে ছিল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমি রেললাইনে রিলস বানাই না। ঘুরতে এসেছিলাম। অনেকেই রিলস বানায়। দূর থেকে ট্রেনের আওয়াজ হলে লাইন থেকে দূরে চলে যাই। মালদহ টাউন স্টেশনের জিআরপির এক আধিকারিক বলেন, রেল লাইনের ধারে না বসা নিয়ে এর আগে সচেতন করা হয়েছে। আবারও করা হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
(ঝুঁকি নিয়েই রেললাইনে তৈরি করা হচ্ছে রিলস।-নিজস্ব চিত্র)