• রায়গঞ্জ সংশোধনাগারে আরও ১৬ সিসি ক্যামেরা
    বর্তমান | ২৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: একের পর এক নয়া ব্যবস্থাপনায় ক্রমে কঠোর হচ্ছে রায়গঞ্জ জেলা সংশোধনাগারের নিরাপত্তা বেষ্টনী। পাঞ্জিপাড়া কাণ্ডের জেরে এবার রায়গঞ্জ জেলা সংশোধনাগারে বসতে চলেছে অতিরিক্ত ১৬টি  সিসি ক্যামেরা। খুব শীঘ্রই ওই ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হবে। 


    সংশোধনাগার সূত্রে খবর, গত এক বছর ধরে সংশোধনাগারে বন্দিদের মানসিক চাপ কাটাতে কাউন্সেলিং চলছে। তারপরও কয়েক দফায় এই সংশোধনাগার থেকে তিন জন বন্দি পালানোর ঘটনা ঘটল। দু’জন মুক্ত সংশোধনাগার থেকে, একজন জেলা সংশোধনাগার থেকে। এনিয়ে ক্রমে অস্বস্তি বেড়েছে জেল কর্তৃপক্ষের। আর তাই বন্দিদের উপর নজরদারি বাড়াতে সিসি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংশোধনাগারে ২৪টি নজরদারি ক্যামেরা রয়েছে। অতিরিক্ত আরও ১৬টি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। যাতে সংশোধনাগারের শ্যাডো জোনগুলোতেও এবার বাড়তি নজর রাখা যায়। তার জন্যই পরিকল্পনা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 


    গত ১৫ জানুয়ারি বিকেলে পাঞ্জিপাড়ায় পুলিসকে গুলি করে পালিয়ে যায় রায়গঞ্জ জেলা সংশোধনাগারের বিচারাধীন বন্দি সাজ্জাক আলম। তদন্তে জানা যায়, সংশোধনাগারে বসেই দুঃসাহসিক এই ছক কষা হয়েছিল। সেই ছক অনুযায়ী শুধু সাজ্জাক নয়, তাকে সঙ্গ দিয়েছিল এই সংশোধনাগারেরই বন্দি আব্দুল হোসেনও। যার বেশকিছু তথ্য প্রমাণ তদন্তকারীরা পেয়েছেন। ১৫ জানুয়ারি সাজ্জাককে রায়গঞ্জ জেলা সংশোধনাগার থেকে ইসলামপুর আদালতে নিয়ে যায় পুলিস। সেখানে বিচারের কাজ শেষ হওয়ার মাঝেই আব্দুল সহ কয়েকজন সঙ্গীর মদতে সাজ্জাকের হাতে পৌঁছয় আগ্নেয়াস্ত্র। তার কিছুক্ষণ বাদে রায়গঞ্জে ফেরার পথে সাজ্জাক প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার অছিলায় পুলিসকে গাড়ি থামাতে অনুরোধ করে। সাজ্জাকের ফাঁদে পা দিয়ে পুলিস পাঞ্জিপাড়া ফাঁড়ির অনতিদূরে কালীবাড়ি এলাকায় প্রিজন ভ্যান থামায়। সেখানেই সুযোগ বুঝে সাজ্জাক দু’জন কর্তব্যরত পুলিস কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পালায়। তারপর বিস্তর ঘটনা ঘটে গিয়েছে। এমনই সব ঘটনা প্রবাহের জেরে রায়গঞ্জ জেলা সংশোধনাগারের নিরাপত্তায় জোর দেওয়া শুরু হয়েছে। নানা বিধি নিষেধ জারি হয়েছে বন্দিদের সঙ্গে আত্মীয় বন্ধুবান্ধবদের সাক্ষাতের ক্ষেত্রেও।
  • Link to this news (বর্তমান)