নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ২০২৩ সালে রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫৬ হাজার মানুষ। ২০২৪ সালে সেই সংখ্যা ১৯ হাজারে নেমে এসেছে। এলাকায় এলাকায় অ্যাপভিত্তিক সমীক্ষার পাশাপাশি ডেঙ্গু নিয়ে লাগাতার সচেতনতা প্রচারের ফলেই আক্রান্তের সংখ্যা এতটা কমানো গিয়েছে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তারা। তবে এখানেই থেমে থাকতে নারাজ রাজ্য সরকার। তাই আত্মতুষ্টিতে না ভুগে ডেঙ্গু বিরোধী প্রচার আরও জোরদার করার তোড়জোড় চলছে। আর তার জন্য প্রত্যেক মাস ধরে ধরে স্লোগান তৈরি করা হল। এই স্লোগানগুলির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ডেঙ্গু ঠেকাতে পঞ্চায়েতগুলিকে কী কী কাজ করতে হবে, তাও নির্দিষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে পঞ্চায়েত দপ্তর। যেমন, অক্টোবর মাসের জন্য স্লোগান বাঁধা হয়েছে, ‘মশাসুরের বিনাশ তরে এসো গো মা ধরণীপরে’। দুর্গাপুজোর মাসে এই স্লোগান সামনে রেখেই এলাকায় এলাকায় চলবে ডেঙ্গু বিরোধী প্রচার অভিযান। পুজোমণ্ডপেও দেওয়া হবে সচেতনতার বার্তা। একইভাবে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২টি স্লোগান বেঁধে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে। জানুয়ারি মাসের স্লোগান হল, ‘আবদ্ধ জলেই আঁতুড়ঘর, মশা জন্মায় বছরভর’। এই স্লোগানকে সামনে রেখে এলাকায় সমীক্ষা চালিয়ে এখন বিপজ্জনক জায়গাগুলি চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে। ফেব্রুয়ারির স্লোগান হল ‘রুখতেই হবে ডেঙ্গু জ্বর, বিনাশ মশার আঁতুড়ঘর’। এই স্লোগানের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে এলাকার পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় কাজ চালানো হবে। মার্চ মাসে স্কুলে স্কুলে প্রচার হবে। এই মাসের স্লোগান, ‘সচেতন ছাত্রসমাজ, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল সমাজ’। এপ্রিল মাসে বৈশাখের শুরু হয়। দোকানে দোকানে হালখাতার পুজো হয়। তাই এপ্রিলের স্লোগান হল, ‘পরিচ্ছন্ন বাজার-ঘাট, ডেঙ্গু হবে কুপোকাত’। ডেঙ্গু রুখতে প্লাস্টিক ব্যবহারের বিরুদ্ধেও প্রচার চলবে। তাই নভেম্বর মাসের স্লোগান, ‘অভ্যাস করুন পরিবর্তন, প্লাস্টিককে করুন বর্জন।’ পঞ্চায়েত এলাকায় পাড়া বৈঠকের মাধ্যমে কোনও বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া সহজ হয়। সেই সূত্রে ডিসেম্বর মাসের স্লোগান, ‘করতে সচেতনতার প্রচার, পাড়া বৈঠকই হোক মূল হাতিয়ার’।
রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘সচেতনতা বৃদ্ধি ডেঙ্গু ঠেকানোর একটি বড় হাতিয়ার। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি প্রচার অভিযানও ভালো কাজ দিয়েছে। তাই আরও পরিকল্পিতভাবে প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’